আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা। বিগত কয়েক বছর ধরে মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্বান্তে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। তবে এ সময়ে প্রকৃত ইলিশ জেলেদের জন্য প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোর দাবী ভোলার লালমোহনের জেলেদের। মৌসুমের শুরু থেকে লালমোহনের জেলেদের জালে ছিল ইলিশের আকাল। শেষ সময়ে এসে ধরা পড়ছে ইলিশ। ঠিক এসময়েই শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারের অবরোধ।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। যা ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে একটানা চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। মোট ২২ দিন। আজ ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এর কার্যকারিতা। এসময়ে সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করনসহ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীকে এক থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে।
ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্বান্তে খুশী জেলেরা। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রনোদনা পাচ্ছেনা সকল জেলে। তাই জেলেদের দাবী প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরন করতে হবে। লালমোহনের মেঘনার পাড়ের ইদ্রিস মাঝি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক ইলিশ শিকারী জেলে সহায়তা পাচ্ছেন না। জেলে ছাড়াও অনেকে পাচ্ছেন সহায়তা।
তেতুলিয়া পাড়ের সুম মাঝি জানান, অবরোধে অনেক অসাধু মাঝিরা এক শ্রেণীর দালালদের মাধ্যমে নদীতে মাছ ধরতে যায়। তাদের কারনে সাধারন জেলেরা বেকায়দায় পড়তে হয়। মেঘনা পাড়ের ইউসুফ দালাল বলেন মা ইলিশ সংরক্ষন করা গেলে বাড়বে মাছের উৎপাদন। যার সুফল ভোগ করবে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। তবে এসময়ে জেলেদের যে সহায়তা দেয়া হয় তা খুবই নগন্য। জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুদীপ্ত মিশ্র জানান, অবরোধ সফল করতে গত ২ সপ্তাহ যাবত আমরা এ ব্যাপারে প্রচারনা চালিয়েছি। লালমোহনের সবগুলো ঘাটে গণসমাবেশ করেছি। কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সহায়তায় আজ রাত ১২ টা থেকে অভিযান পরিচালনা করব।