বুধবার চীনের রাজধানীতে আংশিক ভাবে লকডাউন জারি করা হয়, যেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হওয়ার পরে ১.৬ মিলিয়ন বাসিন্দাকে বেইজিং ছেড়ে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বুধবার নগরীর দক্ষিণে তাশিং জেলার ছয়টি সহ সাত জন আক্রান্ত ব্যক্তি ্সনাক্ত হয়েছে। তাশিং-এর সমস্ত ১.৬ মিলিয়ন বাসিন্দা বেইজিং ত্যাগ করতে পারবে না যদি না তারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি না নিয়ে এবং কোভিড -১৯-এর জন্য পরীক্ষা না করে।
এই জেলাতে ৫০ বা ততোধিক লোকের সভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যদিও “বিবাহ-অনুষ্ঠান স্থগিত করা উচিত এবং জানাজা সহজ করতে হবে,” জেলার স্থানীয় সরকার বলেছে। এই জেলার সমস্ত কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে পড়াশোনা করার নির্দেশ দিয়েছে।
তাশিং এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যেখানে কোভিড আক্রান্ত ধরা পড়েছিল তাদের বাড়ির অভ্যন্তরেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নকশায় শহরের দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্ত। চীন বিশ্বে প্রথম ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এনেছে যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি এখনো মৃত্যুর সাথে লড়াই করে যাচ্ছে এই ভাইরাসের জন্য।
তবে কিছুটা ক্ষুদ্র, স্থানীয় আকারের প্রকপে চীনা কর্মকর্তাদের গণ পরীক্ষার আদেশ, কঠোর লকডাউন এ যাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। চীন বুধবার বেইজিংয়ের সাতটি সহ 103 টি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রতিবেশী হেবেই প্রদেশ সহ এই মহামারীটি আসন্ন চন্দ্র নববর্ষের ছুটির আগে আক্রান্তের সম্ভাব্যতার জন্য বেইজিংকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে।
এদিকে, সোমবার উত্তর-পূর্ব জিলিন প্রদেশের প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন লোককে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে এক ভ্রমণকারীর বিক্রেতার শতাধিক লোককে সংক্রামিত করার পরে।
এদিকে লকডাউনের মধ্যে ব্যাপক বিপাকে বেইজিং এ বসবাসরত বাংলাদেশি সহ সকলেই। তাশিং শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক স্যামির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান লকডাউনের এই পরিস্থিতে সবসময় ঘরের মধ্যেই সময় কাটাতে হচ্ছে।হঠাৎ লকডাউন দেয়ায় খাবার সংগ্রহে না থাকায় হালাল খাবার অনলাইন থেকে সংগ্রহ করাটা একটু কষ্টকর।মসজিদ বন্ধ থাকায় নামাজ কালাম বাড়িতেই পড়তে হয়। তবে বেইজিং সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রী করোনা টেস্ট ইভেন্ট চলছে। বিশ্বাস রাখি বরারের মতো এবারো অতি শীঘ্রই বেইজিং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে।
এবছরও লকডাউন এর মধ্যেই চলবে বেইজিং এর স্প্রিং ফেস্টিভাল ।