মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক গেমিং অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই অ্যাপের আওতায় তিনটি গ্রুপে ভাগ করে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত অনলাইন গেমিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাপটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তান্ত ও জীবনাদর্শ নিয়ে যৌথভাবে এই গেমিং অ্যাপ প্রস্তুত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানাতে অ্যাপটি ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী যে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, সেই কমিটি সবসময় চেষ্টা করছে, নতুন প্রজন্মের কাছে কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছানো যায়।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রথম কোনো মহান নেতাকে নিয়ে আমরা এমন একটা গেম চালু করছি। এটা বিশ্বের মধ্যেও হয়তো প্রথম। আমরা একটা ভালো উদ্যোগ নিতে পেরেছি।’
‘আমার বঙ্গবন্ধু গেমিং অ্যাপ’ প্রতিযোগিতায় বয়সের ক্রমানুসারে সাজানো (১ম গ্রুপ অনূর্ধ্ব ১০ বছর, ২য় গ্রুপ ১০-১৮ বছর এবং ৩য় গ্রুপ ১৮ তদূর্ধ্ব অংশগ্রহণকরীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের জন্য পুরষ্কার হিসেবে থাকবে বই, স্মার্ট ফোন, ট্যাব ও ল্যাপটপ। প্রতি ক্যাটাগরি/বয়সের প্রতিযাযোগীদের মধ্য থেকে ১০ জন করে সর্বমোট ৩০ জন বিজয়ীকে নির্বাচন করা হবে।
১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযাগিতায় ২৬ মার্চ রাত ১২ টা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করা যাবে। একজন প্রতিযোগী একাধিকবার এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং প্রতিবার অংশ নেওয়ার পর সার্ভারে তা আপডেট করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার দাসসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও বিএনসিসি সদর দপ্তরের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক বা তাদের প্রতিনিধি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জেলা কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজন জুম কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।