জাসদের অভিভাবক, প্রবীণনেতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জাসদ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি জননেতা আ ত ম সালেহের মৃত্যুতে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের শোক প্রকাশ করেছেন।
জননেতা আ ত ম সালেহের মৃত্যুতে তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন-সহযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
তারা প্রয়াতনেতা আ ত ম সালেহের প্রতি দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রয়াত জননেতা আ ত ম সালেহ গত কয়েক বছর অসুস্থতায় ভুগলেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক বিভ্রান্তিতে না ভুগে, ব্যক্তিগত লাভের হিসাব না করে, লোভ-মোহের উর্ধে থেকে পরিপূর্ণ আদর্শবাদী জীবন কাটিয়েছেন এবং জাসদের পতাকা সমুন্নত রেখেছিলেন। তিনি একজন সাম্যবাদী, অসাম্প্রদায়িক, গমমুখি সংগ্রামী মানুষ ছিলেন।
তিনি স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশে সমাজপ্রগতির সংগ্রামে যে সাহসী ভুমিকা পালন করেছেন সেজন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যুতে জাসদ একজন সংগ্রামী নেতা ও অভিভাবক হারালো। তার মৃত্যুতে শুধু জাসদই নয় দেশের প্রগতিশীল অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
প্রয়াত নেতা আ ত ম সালেহ আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দুই কন্যা, জামাতাসহ অসংখ্য আত্মীত-স্বজণ-গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। তিন বছর আগে সালেহ ভাইয়ের স্ত্রী মারা গিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি জাসদের প্রয়াতনেতা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আখলাকুর রহমানের খালাতো ভাই।
আজ রাতে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুইকন্যা, পরিবারের সদস্য ও জাসদ নেতৃবৃন্দ আলোচনা করে ঠিক করবেন তাকে সুনামগঞ্জ শহরে, নাকি সিলেটে তার পিতামাতার সমাধির পাশে সমাধিস্থ করা হবে।