ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি শেখ জামিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে মাগুরা শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে কথা জানিয়েছেন। এই মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিন্নি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে। গেল ১ অক্টোবর রাতে তিন্নিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে তিন্নির মেজ বোন ইফ্ফাত আরা মুন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল ইসলাম তাঁদের বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং ভাঙচুর করেন। জামিরুল ইসলাম তিন্নির সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। এ অপমান সইতে না পেরে তিন্নি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
উক্ত ঘটনায় তিন্নির মা হালিমা বেগমের করা মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক আছে।