সামাজিক মাধ্যমগুলো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য মেনে নিচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে প্ল্যাটফর্মগুলো বয়কট করেছিলো অনেক বিজ্ঞাপনদাতা। এরপরই সামাজিক মাধ্যমগুলো ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে একমত হলো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, ভুয়া খবর এবং অন্যান্য ক্ষতিকর কনটেন্টের সঙ্গে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করতে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো খুব বেশি কিছু করছে না, বিজ্ঞাপনদাতাদের এমন অভিযোগ অনেক পুরানো।
তিন মাস আগে মার্কিন পুলিশি নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনে নামেন দেশটির বহু নাগরিক। সে সময় প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক পোস্ট নিয়ে ফেইসবুকের অবস্থানের কারণে সামাজিক মাধ্যমটি বয়কট করে অনেক বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ অ্যাডভার্টাইজারস-এর ঘোষণা করা চুক্তিমতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং হয়রানির মতো ক্ষতিকর কনটেন্টের জন্য প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাধারণ একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে হবে এবং অভিযোগের জন্য একটি মান নির্ধারণ করতে হবে।
বাইরের নিরীক্ষক দিয়ে কনটেন্ট যাচাই ব্যবস্থা পরীক্ষা করাতেও সম্মতি দিয়েছে প্ল্যাটফর্মগুলো। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে কোন কনটেন্ট দেখানো হবে সেগুলোর ওপর বিজ্ঞাপনদাতাদেরকে আরও নিয়ন্ত্রণ দিতেও রাজি হয়েছে তারা।
চুক্তির খবরে ইউনিলিভারের বৈশ্বিক মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট লুই ডি কোমো বলেন, “অনলাইনে আস্থা ফিরিয়ে আনার যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যদিও পরিবর্তন এক রাতে আসে না, আজ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।