চলছে করোনা ভাইরাসের মহামারী। সারাদেশে চলছে লকডাউন। এরই মধ্যে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পুণ্যস্নানে জড়ো হয়েছিলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা।
আজ ভোর থেকে শুরু হওয়া এই পুণ্যস্নানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষরা আগের রাত থেকে ভীড় করতে শুরু করছে চিলমারী বাজারের বিভিন্ন যায়গায়। ছিলোনা কোন স্বাস্থ্যবিধি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘স্নান করতে দেয়া হয়নি’ বলে জানানো হয়েছে।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে এ ধরনের আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর তা বাস্তবায়নে মাঠে নামে প্রশাসন। গতকাল থেকে তারা অষ্ঠমীর পুণ্যস্নানে লোক সমাগম না ঘটানোর জন্য মাঠে অবস্থান নিয়ে ঘাটে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিলেও শেষমেশ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে স্নানে জড়ো হতে থাকে মানুষ। অনেকের মুখে ছিলোনা মাস্ক।
স্নানে অংশগ্রহণ করা একজন বলেন, ভীড় শুরু হয়েছিল ভোর থেকে। পুলিশ বাধা দিয়েছিলো।পরে আমরা অন্য রাস্তা দিয়ে নদীর পাড়ে এসেছি। ঘাটে এসে দেখি দুজন পুলিশ ছিলো। তবে এবার ভীড় কম এবং পুলিশ এখানে আমাদের বেশিক্ষণ অবস্থান করতে দিচ্ছেনা।
এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উপজেলা প্রশাসন পুলিশের সহায়তা নিয়ে গতকাল রাত থেকেই মাঠে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। স্নানের উদ্দেশ্যে যারা আগে এসেছিলো তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
যারা ভোরে এসেছিলো তাদের নদীতে যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমদের ফাঁকি দিয়ে কয়েক যায়গায় স্নান হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলোনা।
প্রতিবছর চৈত্র মাসের এই স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নানার্থে দেশের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তদের আগমন ঘটে। তাদের বিশ্বাস এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের।
এ স্নানে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ করে পাপমোচন হয়। এই স্নানই অষ্টমী স্নান নামে অভিহিত। এছাড়াও অনেক পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের জন্য পিন্ডদান অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয় এ দিন।