পশ্চিম আফ্রিকার গিনি সাগরের উপকূলে জলদস্যুর হামলার শিকার তুর্কি কার্গো জাহাজের অপহৃত ১৫ নাবিক মুক্তি পেয়ে তুরস্কে পৌঁছেছেন। আজ রোববার সকালে তারা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানে ইস্তাম্বুলে পৌঁছান।
শুক্রবার অপহৃত নাবিকদের উদ্ধার করার পর তাদের কঠোর নিরাপত্তার সাথে নাইজেরিয়ার আবুজায় তুরস্কের দূতাবাসে নিয়ে আসা হয়। দেশে ফিরে জাহাজের ক্যাপ্টেন তাদের তিন সপ্তাহে বন্দিজীবন এবং জঙ্গলের মধ্যে অবস্থানকালে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু হুমকির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
অপহৃত জাহাজের ক্যাপ্টেন মোস্তফা কাইয়া জানান, “তাদেরকে জঙ্গলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রাখা হয়েছিল। সবসময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদেরকে পাহারায় রাখত বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কাইয়া”
২৩ জানুয়ারি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী মোজার্ট নামের এই জাহাজটি নাইজেরিয়ার লাগোস বন্দর ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন অভিমুখে যাত্রার সময় গিনি উপসাগরে ও তোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপের দ্বীপের এক শ’ ন্যটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমে জলদস্যুর হামলার শিকার হয়। হামলায় জাহাজের একমাত্র বিদেশি ক্রু, আজারবাইজানি নাগরিক ফারমান ইসমাইলভ নিহত হন। জলদস্যুরা ১৫ ক্রুকে অপহরণ করে মাত্র তিনজনকে রেখে জাহাজটি ছেড়ে দেয়।
ওই তিন নাবিক জাহাজ নিয়ে কাছাকাছি থাকা গ্যাবনের বন্দর পোর্ট গেন্টিলে আশ্রয় নেন। ৩০ জানুয়ারি তাদের তুরস্কে ফিরিয়ে আনা হয়।
অন্য দিকে ২৭ জানুয়ারি নিহত আজারবাইজানি নাগরিকের লাশ গ্যাবন থেকে বাকুতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানে পৌঁছে দেয় তুরস্ক।