বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতার দিনে শুক্কুর ও হৃদয়ের ব্যাটিং নৈপুণ্যে মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় নাজমুল একাদশ।
লম্বা বিরতির পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরায় ব্যাটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য দেখাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ একাদশের ব্যাটসম্যানরা । লিটন–নাঈম ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ১৭ রানে। আল আমিন–তাসকিন আহমেদের অসাধারণ বোলিংয়ে ২১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে এলোমেলো টপঅর্ডার।
ইমরুল কায়েস–মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ উইকেট জুটি ৭৩ রান যোগ করে স্কোরটা চ্যালেঞ্জিং করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। ইমরুল এগোচ্ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দে। কিন্তু নাঈম হাসানকে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৪০ রানের মাথায় সাইফ হাসানের হাতে তালুবন্দি হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তবুও দলকে ভালো স্কোর এনে দেওয়ার পথেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তিনিও (৫১) মুকিদুল ইসলামকে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আফিফ হাসানের হাতে। নুরুল হাসানের শিশুতোষ রানআউট কিংবা মুকিদুলের দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচ হয়ে সাব্বির রহমানের (২২) ফিরে যাওয়ার পর লোয়ার মিডল অর্ডার বলার মতো অবদান রাখতে পারেনি কেউ। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৩ ওভারে অলয়াউট হত ১৯ রানে। নাজমুল একাদশের তিন পেসার তাসকিন, আল আমিন ও মুকিদুল তিনজনই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। অফ স্পিনার নাঈম হাসান ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ আহমেদ উইকেটশূন্য থাকলেও তাঁর বোলিংও প্রশংসাযোগ্য।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের দেওয়া ১৯৬ রানের জবাব দিতে নেমে ৭৯ রান তুলতেই দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান- সাইফ হাসান (১৭), সৌম্য সরকার (২১), মুশফিকুর রহিম (১), আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (২৮) বিদায়। তারপর স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে অপরাজিত ছিলেন কেবল হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর।
সেই অভিজ্ঞ শুক্কুরকে নিয়ে দলকে টেনেছেন হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটি ছিল ১০৫ রানের। শুরুতে চেপে ধরা মাহমুদউল্লাহ একাদশ ম্যাচটা হেরেছে সেখানেই। শেষ অবদি অবশ্য হতাশা নিয়ে ফিরেছেন হৃদয়।
জয়ের জন্য যখন মাত্র ১৩ রান প্রয়োজন তখন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন। অন্যপাশে ৭৮ বলে ৬ চারে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন শুক্কুর। ৪১.১ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৯৭ রান তুলে ফেলে শান্ত একদশ। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ৪৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন তৌহিদ হৃদয়।