হলিউড কিংবা বলিউড মুভির কল্যাণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজ আর ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি।হোয়াইট হাউজের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আর রাষ্ট্রপতি ভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস। হোয়াইট হাউজ ডাউন, অলিম্পাস হ্যাজ ফলেন এইসব একশন মুভি যখন দেখি তখন মনের অজান্তেই একটা চিন্তা মাথায় আসে।মুভিতে যখন ট্যুর গাইড সবাইকে ঘুরে ঘুরে হোয়াইট হাউজের ইতিহাস বলতেছিলো,দেখি বেশিরভাগই আমি জানি। পরে চিন্তাটা আরো গভীর হলো,আমার দেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবন সম্পর্কে আমি কতটুকু জানি?
সে ইচ্ছে থেকেই একটু জানার ও জানানোর ইচ্ছা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবনের নাম বঙ্গভবন। হোয়াইট হাউজ কিংবা রাষ্ট্রপতি ভবনের মত সমৃদ্ধ ইতিহাস না থাকলেও বঙ্গভবনের গল্পটাও আকর্ষণীয় বটে। এছাড়া রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবে বঙ্গভবন হোয়াইট হাউজ ও রাষ্ট্রপতি ভবনের সমমর্যাদা বহন করে।
বঙ্গভবনের প্রাচীন ইতিহাস :
বাংলায় তখন সুলতানি শাসনামল। আজকের বঙ্গভবন এলাকায় তখন শাহজালাল দাখিনি নামক ঢাকার এক সুফিসাধক বাস করতো। এই সুফি সাধকের সাথে তদানীন্তন বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ এর বিভিন্ন সময়ে মতবিরোধ ও বিবাদের সৃষ্টি হয়।এর ফলে
৮৮১ হিজরি অর্থাৎ ১৪৭৫-৭৬ সালে সুলতানের সৈন্যসামন্তদের হাতে সাধক এবং তার কিছু অনুসারী নিহত হয়। বঙ্গভবন এলাকাতেই তাদের কবর দেওয়া হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই স্থানটি মাজার হিসেবে রূপ লাভ করে।
এরপর মুঘল আমলে মির্জা মুকিম, সুবেদার মীরজুমলার অধীনে নওয়ারা মহলের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।পুরানা পল্টনের দক্ষিণ পাশে তার বাসভবন ছিলো।এই বাসস্থলের ভেতর ও বাহিরের অংশে দুটি বড় টিলা ছিল।একটি টিলা এখনও বঙ্গভবনের প্রাঙ্গনেই রয়েছে। বঙ্গভবনের বিশাল পুকুর টি একসময় মোতির পুকুর নামে পরিচিত ছিলো। মুঘল শাসনকালের শেষ দিকে স্থান টি পরিত্যাক্ত হয়।
জনশ্রুতি আছে বঙ্গভবন এলাকায় মানুক হাউজ নামে একটি ভবন ছিলো। এটি ব্রিটিশ আমলে মানুক নামের একজন আর্মেনীয় জমিদারের বাসস্থান বলে বিবেচনা করা হয়। ঢাকার নবাব খাজা আব্দুল গণি জায়গা টি ক্রয় করে এখানে একটি বাংলো তৈরি করেন যার নাম দেওয়া হয় দিলকুশা বাগ।
বঙ্গভবন নির্মাণ ও ব্রিটিশ আমল :
পূর্ব বঙ্গের মুসলিমদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৫ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ বাংলা প্রেসিডেন্সিকে “বিভক্ত করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম” নামে একটি প্রদেশ গঠিত হয়।তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের শাসনামলে ভারত সাম্রাজ্যের অধিপতি ব্রিটেনের রাজার এক ঘোষণায়(Proclamation) ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই নতুন প্রদেশ গঠিত হয় এবং ঢাকা হয় প্রদেশটির রাজধানী।
নতুন গঠিত প্রদেশের শাসনকর্তা তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত হন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের সদস্য স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও তার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য একটি উপযুক্ত অফিস ও বাসভবন নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়। এসময় ঢাকার নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ গভর্নরের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন। তিনি নবাব পরিবারের দিলকুশা বাগানবাড়ির জমি প্রদানের প্রস্তাব দেন।
ভিক্টোরিয়া স্থাপত্যে দিলকুশার দক্ষিণ প্রান্তে গভর্নরের অফিস ও বাসভবন নির্মাণ করা হয় ।ভবনটি প্রথমে “অস্থায়ী গভর্নমেন্ট হাউজ” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
১৯০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী নবনির্মিত গভর্নমেন্ট হাউজে প্রদেশের শাসনকর্তা স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার প্রবেশ করেন। মূলত এদিন থেকেই প্রশাসনিক ভবন হিসেবে যাত্রা শুরু করে আজকের বঙ্গভবন।
স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার ছাড়াও প্রদেশের অন্যান্য গভর্নর স্যার ল্যান্সলট হেয়ার,স্টুয়ার্ট বেইলি এবং তাদের পত্নীগণ এই গভর্নর হাউজে বাস করেন।
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লী দরবার থেকে রাজা পঞ্চম জর্জের এক ঘোষনাবলে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পরও ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বহু ব্রিটিশ গভর্নর ঢাকায় আসেন এবং গভর্নমেন্ট হাউজে অবস্থান করেন। সে সময় ঢাকাকে বাংলার দ্বিতীয় রাজধানী মনে করা হতো।ফলে এই হাউজের গুরুত্ব অব্যাহত থাকে।
পাকিস্তান আমল :
১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীন হয়।পূর্বপাকিস্তান নামে বর্তমান বাংলাদেশ পাকিস্তানের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। প্রদেশের রাজধানী হয় ঢাকা। এবারও প্রাদেশিক শাসনকর্তার কার্যালয় হিসেবে বেছে নেওয়া হয় দিলকুশায় অবস্থিত গভর্নমেন্ট হাউজ। তবে ভবনের নাম “গভর্নমেন্ট হাউজ” থেকে পরিবর্তন করে “গভর্নর হাউজ” রাখা হয়।
১৯৬১ সালের ৯ মে সারা প্রদেশে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গভর্নর হাউজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষিত হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আজম খানের প্রচেষ্টায় ১৯৬৪ সালে গভর্নর হাউজ নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এসময় স্থাপত্যশৈলীতে পরিবর্তন এনে ইসলামি ও বাঙালি স্থাপত্যের সমন্বয় ঘটানো হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর স্যার ফ্রেডারিক বোর্ন থেকে ১৯৭১ সালের সর্বশেষ গভর্নর ডা. এ. এম মালিক পর্যন্ত গভর্নরগণ এই হাউজে অবস্থান করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গভবন :
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ গভর্নর হাউজে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠক করেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গভর্নর হাউজের নাম বদলে বঙ্গভবন রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
বঙ্গভবনের খুটিনাটি :
ঢাকা শহরের মতিঝিল থানার অন্তর্গত দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার দক্ষিণে ও মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার দক্ষিণ পশ্চিমে প্রায় ৪৭ একর জমির উপর বঙ্গভবন অবস্থিত।চতুর্দিকে উঁচু প্রাচীরবেষ্টিত বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন ছাড়াও রয়েছে উন্মুক্ত জায়গা,নানা প্রজাতির ফুল-ফল-ভেষজ ও বাহারি গাছের সমন্বয়ে উদ্যান,হরিণ,বানর সহ নানা জাতের পাখপাখালি; পুকুর ও দিঘি।
প্রবেশের মূলফটক পেরিয়ে উত্তর দিকে রয়েছে বিশাল আম্রকুঞ্জ,দক্ষিণে নয়নাভিরাম গোলাপ বাগান। স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের উদযাপনে ব্যবহৃত হয় প্রধান ভবনের উত্তর পাশের সবুজ চত্বর। নিয়োগের সময় বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের গার্ড অব অনার ও দেওয়া হয় এখানে।বঙ্গভবনে দানাদিঘি,সিংহ পুকুর ও পদ্মপুকুর নামে তিনটি পুকুর রয়েছে।
আগেই বলেছি বঙ্গভবনের অভ্যন্তরে শাহজালাল দাখিনি (রঃ) এর মাজার রয়েছে।বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পেরিয়ে উত্তর দিকে রাস্তার পাশে মাজারটি অবস্থিত।এছাড়া আরো দুটি মাজার রয়েছে যার একটি নওগোজি শাহ্ এবং চন্দন শাহ্ এর মাজার বলে ধারণা করা হয়।
বঙ্গভবনের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা শৈল্পিক ও দৃষ্টিনন্দন। মূলভবনে রয়েছে ঐতিহাসিক দরবার হল।রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি,মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এই দরবার হলে।রাষ্ট্রীয় সফরকালীন সময়ে দরবার হলে রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজনও হয় এই দরবার হলেই।
ঈদ-উল-ফিতর,ঈদ-উল-আজহা,দূর্গাপূজা,বুদ্ধপূর্ণিমা, বড়দিন,বাংলা নববর্ষ সহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান দরবার হলে হয়।
তিন তলা বিশিষ্ট প্রধান ভবনটির মেঝের আয়তন ৬৭০০ বর্গমিটার। উত্তর-পূর্ব কোণের দুটি তলা জুড়ে রয়েছে রাষ্ট্রপতির আবাসস্থল। পাঁচটি সুসজ্জিত প্রশস্ত শয়নকক্ষসহ রাষ্ট্রপতির জন্য দুটি স্যুট রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির দপ্তর,রাষ্ট্রপতির সামরিক, অসামরিক সচিবদের দপ্তর,অন্যান্য কর্মকর্তাদের দপ্তর,দেশী ও বিদেশী দর্শনার্থীদের সাথে সাক্ষাতের জন্য পৃথক পৃথক কক্ষ নিচ তলায় অবস্থিত।এসব ছাড়াও ক্যাবিনেট কক্ষ,হলঘর,অডিটোরিয়াম, গেস্টরুম রয়েছে।দ্বিতীয় তলায় রাষ্ট্রপতির আবাসস্থল ছাড়াও রয়েছে কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচটি কক্ষ,একটি কন্ট্রোল রুম,একটি স্টুডিও।বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের জন্য তিন তলায় চারটি স্যুট রয়েছে।
মূল ফটকের কাছাকাছি রয়েছে নিরাপত্তা দপ্তর,ডাকঘর,ব্যাংক,ক্যান্টিন,দর্জির দোকান,তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট।
বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা :
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তথা বঙ্গভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)। রাষ্ট্রপতির নির্বাহী অফিসের নিরাপত্তা, বিদেশ ভ্রমণ,সাধারণ যাতায়াত,চিকিৎসা সহায়তা ও জরুরি সেবা, আতিথেয়তা সহ সকল ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করে এই রেজিমেন্টের চৌকস সদস্যরা।
১৯৭৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স নামে এই বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এটি পুনর্গঠন করে নতুন নাম দেন প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট।
রাষ্ট্রপতির সকল দেহরক্ষী এই অফিসের অধীনেই নিয়োগ করা হয়।বাংলাদেশ ভ্রমণকালে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও এই সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের কমান্ডার সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল যিনি একই সাথে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আট প্লাটুন সৈন্যের সমন্বয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়,প্রতিটি প্লাটুনের নেতৃত্বে থাকে মেজর র্যাংকের কর্মকর্তা।
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের কিছু বিশেষত্ব :
এখানে কর্মরত কোনো সামরিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডে থাকে না। এরা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য।
অর্থাৎ কোনো আর্মি অফিসার এই রেজিমেন্টে কর্মরত থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর কমান্ড মানতে বাধ্য নয়।
এছাড়া এই রেজিমেন্টের পোশাকও সেনাবহিনীর পোশাক থেকে আলাদা। আলাদা এই পোশাক পরার কারণ হলো এই পোশাক পরিহিত সামরিক অফিসার/সৈন্য সবসময় সব জায়গায় অস্ত্র বহন করতে পারবে।
আরেকটি বিশেষত্ব হলো রাষ্ট্রপতির জীবন নাশ অথবা ক্ষতির সম্ভাবনা দেখলে এই রেজিমেন্টের সদস্যরা যে কাউকে গুলি করে নিউট্রালাইজ অথবা মেরে ফেলতে পারে।এর জন্য তাদের কোনো ট্রায়াল হবে না।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট এবং স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের( এসএসএফ) এই ক্ষমতা আছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের পর বঙ্গবন্ধু বাদে প্রায় সব রাষ্ট্রপতিই বঙ্গভবনে বাস করেছেন। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাহী ক্ষমতার অধিকার পেয়েছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থা হলেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতি আর তার কার্যালয় বঙ্গভবন মর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক হয়ে থাকবে সবসময়।
[ ইমামুল হাসান নিপুন – এর ফেসবুক ওয়াল থেকে]
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।