বায়ুদূষণে টানা চতুর্থবারের মতো ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তকমা পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) প্রকাশিত ‘বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউএয়ার’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একটি দেশও ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। আর দূষণের মাত্রার বিচারে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে কম শ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী বাতাস ছিল ঢাকায়। বাংলাদেশের রাজধানী বায়ু মানের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় খারাপ শহরের তালিকায় রয়েছে।
সুইস এই সংস্থার মতে, গত বছর সামগ্রিক বায়ু মান বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বায়ুতে প্রাণঘাতী পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ; যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া সীমার চেয়ে কয়েক গুন বেশি। এর আগে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশে পিএম-২.৫ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ছিল যথাক্রমে ৯৭.১, ৮৩.৩ ও ৭৭.১ মাইক্রোগ্রাম।
প্রতিবেদনটি ১১৭টি দেশ, ছয় হাজার ৪৭৫ অঞ্চল এবং স্থলভিত্তিক বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বায়ু দূষণ ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
আইকিউএয়ার বলছে, বায়ুদূষণ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবেশগত স্বাস্থ্য হুমকি। প্রত্যেক বছর বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে বায়ু দূষণের কারণে।
মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন- প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। আইকিউএয়ার বায়ূতে পিএম-২.৫’র যে উপস্থিতি পেয়েছে তা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে সতর্ক করে দিয়েছে।