কোনো খেলোয়াড় ১০০ ভাগ ফিট না থাকলে তাঁকে খেলাবেন না, এমনটা বলেছিলেন রোনাল্ড কোমান। আবার টানা খেলার ক্লান্তি যাতে ভর না করে, সে জন্যও অনেককে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, এ রকম একটা আভাসও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লিওনেল মেসির ক্ষেত্রেও যে এমনটি ঘটতে পারে তা অনেকেই ভাবেননি। মেসিকে একাদশের বাইরে রেখে বেতিসের দল সাজানো তাই কোমানের জন্য একটা বড় সিদ্ধান্ত বৈকি!
ঠিক কী কারণে বেতিসের বিপক্ষে একাদশে মেসি নেই, এটা স্পষ্ট জানা যায়নি এখনো। ক্লান্তি? সেটা হতে পারে। আজ যদি মেসি শুরু থেকে খেলতেন, তাহলে লা লিগায় টানা ৩৮টি ম্যাচে বার্সা একাদশে থাকা হতো মেসির। এর চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ টানা খেলেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু সেই মেসি আর এই মেসির বয়স তো এক নয়। শরীরের হাড় কিছুটা পুরোনো তো হয়েছেই। আগে এমন বিশ্রামের কথা শুনলে নিজেই বিরক্ত হতেন। উল্টো একাদশে খেলার জন্য কোচদের সঙ্গে জোরাজুরি করতেন। এখন হয়তো আগের মতো জোর করেন না। কোচ বিশ্রাম দিতে চাইলে রাজি হয়ে যান।
বার্সেলোনা ভিত্তিক একটি রেডিও বলছে, অ্যাঙ্কেলে কিছুটা সমস্যা আছে মেসির। কিন্তু এটা সঠিক বলে মনে করছেন না অনেকে। অ্যাঙ্কেলে সমস্যা থাকলে তাঁকে স্কোয়াডেই-বা কেন রাখবেন কোচ। কিছুক্ষণের জন্য খেললেও তো আরও বড় চোটের ঝুঁকি থাকে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের কয়েকটি বলছে, এটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে, বেশ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ কোমান। মেসিকে বেঞ্চে রেখে কৌশল সাজানোর কথা অনেক কোচ ভাবার সাহস পাননি।
অবশ্য কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আবার বলছে, চোট বা কৌশল নয়, মেসিকে আসলে শুধু বিশ্রামই দিয়েছেন কোমান। এই মৌসুমে বার্সেলোনার সবগুলো ম্যাচের প্রতিটি মিনিট খেলেছেন মেসি। এই বয়সে এসে এমন ধকলের পর একটু বিশ্রাম তাঁর দরকার হতেই পারে। সেটা তিনি না চাইলেও।
কারণ যেটাই হোক, সিদ্ধান্তটা যে বেশ চমক হয়ে এসেছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এমনকি বেতিস কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনিও ম্যাচের শুরুতে বলেছেন, ‘খুব আশ্চর্য হয়েছি যে মেসি খেলছে না। আমরা এটা আশা করিনি।’
কোনো সন্দেহ নেই পেলেগ্রিনি মেসিকে একাদশে ধরে রেখেই কৌশল সাজিয়েছিলেন। দেখা যাক মেসি না থাকার সুবিধা তাঁর দল কতটুকু নিতে পারে। না কি উল্টো বার্সেলোনাই মেসিকে ছাড়া চমকে দেবে তাঁর দলকে!