স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত আড়াইটার দিকে আঘাত হানা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নর্থ আইল্যান্ডের জিসবর্ন শহর থেকে ১৪৮ মাইল দূরে এবং সাগরের ৬ দশমিক ২ মাইল গভীরে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এনইএমএ) সতর্ক করে বলেছে, নর্থ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের কিছু এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়ে গেছে।
এনইএমএ টুইট করে বলেছে, কিছু নিচু অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছের শহর হচ্ছে গিসবোর্ন। সেখানকার জনসংখ্যা ৩৫ হাজার ৫০০।নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ‘আশা করি, প্রত্যেকে সেখানে ঠিক আছেন। বিশেষ করে ইস্ট কোস্ট উপকূলের লোকজন। তাঁরা ভূমিকম্পের সম্পূর্ণ ধাক্কা অনুভব করেছেন।’
নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট জিওনেটে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ভূমিকম্প টের পাওয়ার বিষয়টি জানান। ২৮২ জন একে তীব্র ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেন। ৭৫ জন একে চরম মাত্রার ভূমিকম্প বলেন। অন্যরা হালকা অনুভূতির কথা জানান।
ভূমিকম্পের পরবর্তী ধাক্কা এখনো সেখানে অনুভূত হচ্ছে বলে জানা গেছে।