গত ৩০ মার্চ (মঙ্গলবার) রংপুরে সুমি কমিউনিটি সেন্টার কনফারেন্স হলে বিকাল ৩ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ব্রাদারহুড ওপেন স্কাউট গ্রুপ।
স্কাউটের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং এর সূচনা করেছিলেন ১৯০৭ সালে।
আর তাঁর আদর্শকে ধারণ করে কোয়ালিটি স্কাউটিং, সেবা ও আত্মশুদ্ধির মানসে রংপুর জেলায় পথচলা শুরু হলো ব্রাদারহুড ওপেন স্কাউটস গ্রুপের। এই দলে যুক্ত হয়েছেন ৩০ জন তরুন সারথী।
গত ৫ বছর ধরে দেখে আসা স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় ও রংপুরে একটি পূর্নাঙ্গ মুক্তদলের অভাব পূরণ হবে বলে উদ্যোক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁরা সর্বস্তরের মানুষ ও স্কাউট নেতৃবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহাদেব কুমার গুন, ব্রাদারহুড ওপেন স্কাউট গ্রুপের সভাপতি মোঃ ইমরুল কায়েস পরাগ, গ্রুপ সম্পাদক মোঃ আবু হাসনাত সরকার, কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান, স্কাউট লিডার আবু সাঈদ আহমেদ রাবু সহ রংপুর জেলা রোভার এর সকল ইউনিট এর সিনিয়র রোভার মেট বৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচয় পর্ব,প্রাথনা সংগীত, স্কাউটিং সংক্রান্ত মজার সব ভিডিও, স্কাউটদের স্কাউটিং অভিজ্ঞতা শেয়ার এর পর রংপুরে ব্রাদারহুড ওপেন স্কাউট গ্রুপ গঠন এর তাৎপর্য বর্ণনা করেন মোঃ আশিকুর রহমান ।
তিনি বলেন, বৃহত্তর রংপুরে স্কাউট মুক্তদল শূণ্যতা ও কোয়ালিটি স্কাউটিং নিশ্চিত করতে ব্রাদারহুডের যাত্রা। রংপুরে আমি যে সময় সক্রিয় রোভার ছিলাম তখন অনেককেই আগ্রহী দেখতাম কিন্তু তারা প্লাটফর্মের অভাবে স্কাউটিং করতে পারত না। অন্যদিকে অনেক রোভারের রোভার প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার আগেই একাডেমিক কার্যক্রম শেষ হয়ে যায় তাই এই উদ্যোগ।
দলের সভাপতি মোঃ ইমরুল কায়েস পরাগ তার বক্তব্যে বলেন, স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাবে এই সদ্যজাত দলটি। এটি শুধু একটি স্কাউট দল নয় একটি পরিবার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আশা করি ব্যাডেন পাওয়েলের ট্রেডিশনাল স্কাউটিং ও আধুনিক বিশ্বের শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে নতুন কিছু করবে এই স্কাউট পরিবারটি।
আগত অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে দলের জন্য শুভ কামনা জানান। গঠনতান্ত্রিক পরিকল্পিত সকল কিছুই আনে সফলতা। রংপুর জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার একটি দলের পূর্ণ গঠন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন এবং এই উদ্দ্যোগকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন এই ব্রাদারহুড ওপেন স্কাউট গ্রুপ রংপুর তথা বাংলাদেশ স্কাউটস এর অন্যতম একটি দল হিসেবে পরিণত হবে।
উপস্থিত সকলকে নিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে দলের যাত্রার শুভ সূচনা করা হয়। এরপরে সকল আমন্ত্রিত অতিথি ও সদস্যবৃন্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।