রংপুরের হারাগাছ পৌর এলাকায় সালিসের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় মাতব্বর আব্দুল হালিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে রংপুর মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার প্রধান ও এডিসি (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর থানায় পাঠানো হয়েছে। সালিস বৈঠকটি লালমনিরহাট সদর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানেই মামলা হবে।গতকাল রাতে তিস্তা নদীর চর টাংরির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।”
আব্দুল হালিম হারাগাছের একটি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক। তামাক কেনাবেচার জের ধরে ফজলুর ও চাঁনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এর সূত্র ধরেই এ হত্যাকাণ্ড কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হারাগাছ পৌরসভার কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ জানান, “রংপুরের হারাগাছ পৌর এলাকার টাংরির বাজারে ফজলুর রহমান ও চান মোহাম্মদের মধ্যে সালিস শেষ করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাশের একটি হোটেলে চা খেতে বসেন আব্দুল হালিম।
এ সময় ফজলুর রহমানের লোকজন সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর একটি অটোরিকশায় করে তাকে হারাগাছের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা। মুমূর্ষু অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা রংপুর মেডিকেলে নেয়ার পথেই মারা যান হালিম।”