ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ানের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর জেলেরা প্রজনন মৌসুমেস্থানীয় অসাধু প্রভাব শালীদের ছত্রছায়ায় মা ইলিশ শিকার করছে হরহামেশে, নিষেধাজ্ঞা মানছেন না মেঘনার জেলেরা।
সূত্রমতে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ও ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এসময়টিকে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নির্ধারন করেছেন মৎস্য বিভাগ এসময় নদীতে ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরা,পরিবহন করা,বিক্রি করা মজুদ করা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য বিভাগ, নিষিদ্ধ সময়ের জন্য সরকার জেলেদের জন্য পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে থাকেন কিন্তু তারপরেও জেলেরা সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নদীতে জাল ফেলে ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকার করছেন উল্লাশিত হয়ে দেখার যেন কেউ নেই । মাঝেমধ্যে লোক দেখানো স্বল্পসংখ্যক জনবল ও স্থানীয় ট্রলার দিয়ে ঢিমেতালে চলছে মৎস্য বিভাগও প্রশাসনের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষা অভিযান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও ফাঁকি দিয়ে অসাধু জেলেরা ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী এলাকার কয়েকটি স্পটে মা ইলিশ ধরতে ও বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গল, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনায় মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোন অভিযান চোখে পরেনি। জেলেরাহরহামেশে নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করছেন দেদারছে ।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় , রাত ১০টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত ইলিশ ধরার জন্য মেঘনা বেষ্টিত গাইট্রার পাড়, বুড়িরদোন ঘাট,শামপাটাওয়ারীর দিঘী সংলগ্ন ঘাট, কাঠির মাথা, পাটাওয়ারীর হাট সংলগ্ন ঘাট, জোরা খাল ঘাট, বাতির খাল ঘাট,কামারের খালঘাট, কোব খালী সহ মেঘনার প্রতিটি মাছ ঘাটে জেলেরা নৌকা দিয়ে জাল ফেলে মাছ শিকার করে থাকেন ।
তবে সূত্রে আর ও জানায়,মেঘনার কাঠির মাথা মাছ ঘাটের মোসলেউদ্দীন মাঝির নৌকা, কামারের খালের জয়নাল, রফিক, জসিম, ফারুক, রহমান মাঝি, শাহিন মাঝির নৌকা, গাইট্রার খাল ঘাটের সিরাজ,জামাল, খালেকের নৌকা সহ বিভিন্ন মাছঘাটে কথিত প্রভাব শালীরা মাছ শিকার করছে যাচ্ছে এ নিষিদ্ধ সময়ে। তাদের জালে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা মা ইলিশ।
পরে নৌকা ভর্তি ইলিশ পাইকারদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা অস্থায়ী জায়গায় এসে মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সচেতনমহল জানান নদীতে মাছ শিকার বন্ধ করতে কোন অভিযান না থাকলেও উপরে ব্যবসায়ী বাক্রেতারা মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার পথে উৎ পেতে থাকে কিছু অসাধু ব্যক্তি মৌসুমী ছিনতাইকারী ,গত সোমবার মেঘনা নদীরগাইট্রার খাল ঘাট থেকে ২ হালি ইলিশ মাছ ক্রয় করে মাফু আলম নামের রায়চাঁদের এক ক্রেতামাছ ক্রয় করে বাড়ীতে আসারপথে লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজার এলাকার বটতলা নামক স্থানে কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার ক্রয়কৃত মাছগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়, বুধবার বিকালে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ধলীগৌরনগরের হেলাল হাওলাদার নামক এক ক্রেতা থেকে ২০ হালী মাছ লালমোহন থানাপুলিশ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এধরনের ঘটনা অহরহ চলছে অনেকে ভয়ে মূখ খুলছে না জানাযায় প্রতি হালি (বড়) ইলিশের দাম ১২/১৩ শত টাকায় বিক্রিকরা হচ্ছে।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সময় বেশি মাছ পাওয়া যায় বলে তাদের লাভের পরিমাণ বেশি হয়, এবং সরকারীসাহায্য অনেক কম, আবার সব জেলেরা সরকারী চাল ও পূর্নবাসন পায় না তাই তারা সরকারী আইন না মেনে জীবনের ঝুঁকিনিয়ে ইলিশ শিকার করেন বলে মেঘনার একাধিক জেলে জানান।
এ সময় সাধারণ মানুষের কেনাকাটা থাকে হাতের নাগালে এবং কম দামে অনেকে মাছ সংরক্ষণ করছেন,অধরোধ ব্যাতিতসাধারন মানুষ ইলিশের স্বাধ গ্রহন করতে পায় না বলে জানা একাধিক ব্যক্তি স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী মৎস্য বিভাগসহকতৃপক্ষ যেন সরকারের এ নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে অভিযান জোরদার করে সরকারের ঘোষিত আইনকেবাস্তবায়নের জোরালো ভ’মিকা পালন করেন ,তা না হলে বেস্তে যাবে সরকারের সৎ উদ্দেশ্য ।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদিপ্ত মিশ্র বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ,মঙ্গলবার উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের দায়ে ০৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে।