হিজরি বর্ষের ৮ম মাস হচ্ছে শাবান মাস ।অন্যান্য মাসের মত এই মাসেও রয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও আমল।আল্লাহর রাসূল (স) রজব ও রামাদান মাসের মধ্যবর্তী মাস অর্থাৎ শাবান মাসকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
রাসূল (স) চাঁদ দেখে সিয়াম বা রোজা পালন করার এবং চাঁদ দেখে রোজা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে ৩০দিবস পূর্ণ করার জন্যে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে একটি হাদিস হল- আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম রাখ এবং চাঁদ দেখে সিয়াম ছাড়। যদি (কালক্রমে) তোমাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় (এবং চাঁদ দেখতে না পাওয়া যায়), তাহলে শাবান (মাসের) গুনতি ত্রিশ পূর্ণ করে নাও।” (বুখারী ১৯০৯ মুসলিম ২৫৬৬,)
রাসূলে আকরাম (স) আগত রামাদান মাসের পূর্ণ প্রস্তুতি স্বরূপ শাবান মাসে অধিক রোজা থাকতেন হিসাবে প্রমান পাওয়া যায়। আগত রামাদান মাসে ভয়ভীতি দূর ও আগাম অনুশীলন করার জন্যে শাবান মাসের রোজা থাকা দারুণ কার্যকরী।
এই প্রসঙ্গে তিরমিজি শরীফের একটি বর্ণনা হল-আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে এর চেয়ে বেশি রোযা রাখতেন না। শামায়েলে তিরমিযি, হাদিস নং ২৩৩।
এইছাড়া ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন -রজব আল্লাহর মাস,শাবান আমার মাস,আর রামাদান আমার উম্মতের মাস (আল হাদিস)।
সর্বোপরি এইকথা নিশ্চয়ই বলা যায় যে, রাসূল (স) এই মাসে অধিক রোজা রাখতেন যা শক্তিশালী আমল হিসেবে প্রমানিত। এইছাড়া কুরআন তেলোয়াত ও দান-সাদকা করতেন। সাহাবায়ে আজমাইন ও উক্ত আমলগুলোর অনুসরণ ও অনুকরণ করতেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের উক্ত মাসে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।