বার্লিনে ভারতীয় মিডিয়া ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ভারতীয় মিডিয়ার ভুয়া খবর প্রচার এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আজ (১৫ ডিসেম্বর) জার্মান সময় দুপুর বারোটায় বার্লিনের প্রাণকেন্দ্র এবং বিখ্যাত পর্যটন এলাকা ব্রান্ডেনবুর্গার টোরে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শহর থেকে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি এতে অংশ নেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন পর্যটক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকও এই প্রতিবাদে যুক্ত হন।
ভারতীয় মিডিয়ার ভূয়া খবর নিয়ে বক্তাদের বক্তব্য:
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, ভারত ভুয়া খবর প্রচারে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চেষ্টায় লিপ্ত এবং পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে। বক্তারা বলেন, এসব কাজ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তারা আরো বলেন, যদি ভারত এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না করে, তবে ভবিষ্যতে তাদের কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা:
বক্তারা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কিছু মিডিয়ার বক্তব্য অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর, উস্কানিমূলক এবং বিপজ্জনক। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই এসব মিডিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করছে।
বক্তারা আরও বলেন, গণবিপ্লবের পর ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এতে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হলেও জনগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রেখেছে। বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু ভারতীয় মিডিয়া এই শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।
ভারতীয় মিডিয়ার শিষ্টাচার লঙ্ঘন:
তারা উল্লেখ করেন, কিছু ভারতীয় মিডিয়া প্রকাশ্যে ঘোষণা করছে যে "বাংলাদেশ থাকবে না," যা কেবল শিষ্টাচার নয় বরং সাংবাদিকতার নীতির চরম লঙ্ঘন।
সবার প্রতি আহ্বান:
বক্তারা বলেন, আসুন সবাই মিলে সীমান্ত হত্যা, ফারাক্কা, তিস্তা, অসম চুক্তি, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, এবং মিডিয়ার নির্লজ্জ আচরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
বিদেশি নাগরিকদের উদ্বেগ:
উপস্থিত বিদেশি নাগরিকরাও ভারতের ভুয়া খবর প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ভারতের মতো একটি বৃহৎ দেশে এ ধরনের মিথ্যা খবর প্রচার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে, যা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।