খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভূয়াছড়ির নতুন বাজার গ্রামে এবং মহালছড়ি উপজেলার পাকিজাছড়ি গ্রামে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) তত্বাবধানে কম সময়ে অধিক ফলন ও রোগ-বালাইমুক্ত ইরি- এগ্রো প্রকল্পের প্রদর্শনী চাষের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার নতুন বাজার গ্রামের কৃষক জাকির হোসেনের জমিতে এই শস্য কর্তন করা হয়।
বিল্ড এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এগ্রিবিজনেস এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় এবার নতুন বাজার গ্রামে, কম সময়ে অধিক ফলন, রোগবালাই মুক্ত নতুন ৪ ধরনের ধান, ব্রি ধান-৭২, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান-৮৭ ও বি আর ১১ জাতের প্রদর্শনী ধান চাষ করা হয়।
ভূয়াছড়ির স্থানীয় কৃষক মোঃ মফিজাল ব্রি ধান-৭২ ও ব্রি ধান-৫২ জাত চাষ পছন্দ করেন। চলতি মৌসুমে ভালো ফলন পাওয়ায়, আগামী আমন মৌসুমে এই জাতের ধান অধিক পরিমান জমিতে চাষ করবেন বলে জানান।
বুধবার (২৩ নভেম্বর)মহালছড়ির স্থানীয় কৃষক মো: সুরুজ জামান নিজে উচ্চ ফলনশীল এইসব জাত চাষ করতে পেরে আনন্দিত। তিনি ব্রি ধান-৭২, ব্রি ধান ৮৭ ও ব্রি ধান-৫২ জাত চাষ পছন্দ করেন এবং আগামী মৌসুমে বৃহৎ পরিসরে অধিক জমিতে চাষাবাদ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মহালছড়ির স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো: ফরিদুল ইসলাম কৃষক পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল এইসব জাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন ।
পাহাড়ি অঞ্চলে ‘আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) পরীক্ষা মূলকভাবে জলবায়ু উপযোগী আধুনিক উচ্চ ফলনশীল (উফসি) জাতের ধান প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে ৪টি আগাম জাতের ধান হেড টু হেড প্রদর্শনী করা হয় । এসব ধানের জীবনকাল ১১৫ থেকে ১৪০ দিন।
একই সাথে খাগড়াছড়িতে দুইটি উপরোক্ত দুইটি উপজেলায় মহিলা কৃষকদের নিয়ে গঠিত দুইটি গ্রুপের প্রদর্শনী প্লটের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। গ্রুপের কৃষক গণ স্থানীয় ধানের জাতের চেয়ে ব্রি ধান-৭২, ব্রি ধান ৮৭ ও ব্রি ধান-৫২ জাত চাষ পছন্দ করেন এবং আগামী মৌসুমে বৃহৎ পরিসরে অধিক জমিতে চাষাবাদ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) এর বাস্তবায়নাধীন নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ভূয়াছড়ির ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উদ্দীপন চাকমা, এগ্রিবিজনেস এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল এর প্রজেক্ট অফিসার বাগী মং মারমা, জাকির হোসেন ও তার স্ত্রীসহ,সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এলাকার অন্যান্য কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন ।
নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে পাহাড়ি অঞ্চলে আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) এর এই সব প্রদর্শনী এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে ইরির এই ধরনের কার্যক্রম খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে বলে মত প্রকাশ করেন।