২০১৮ বিশ্বকাপে ইতালি যখন সুযোগ পেলো না ঠিক তার দুই বছরে এরা বিস্ট টিম হয়ে গেল।একটা টিমে একটা দুইটা পরিবর্তন হইতে পারে কিন্তু রুট বা শিকড় পরিবর্তন করা খুব টাফ ব্যাপার।
ওদের বোর্ডের সভাপতি পদত্যাগ করেছে।একঝাক তরুণ খেলোয়াড়কে দলে নিয়ে আসা হয়েছিল।কোচ নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এমন একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষকে যার সামনে অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ও দুগ্ধপোষ্য শিশু।ওরা শুধু বাইরের পরিবর্তনই করে নাই।ইতালি আর ডিফেন্স ছিলো সমার্থক শব্দ।আজ ওরা ডিফেন্সে কিয়েলিনি আর বনুচ্চির মত দুটো বুড়োকে রেখে সেকেন্ডে সেকেন্ডে অ্যাটাকে যায়।নিজেদের খেলার ধরনই বদলে দিয়েছে।
একই কাজটা করেছে আর্জেন্টিনা।মেসির উপর নির্ভরতা একদম কমিয়ে দিয়েছে।যেই ডিফেন্স ছিলো দুর্বলতা সেটাই এখন শক্তি।এই কাজটাই করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম ২০১৫ বিশ্বকাপের পর, বাংলাদেশের কাছে হারের পর তাদের খেলার চাল পুরটাই পরিবর্তন করে ফেলে তারা।চিরচেনা ডিফেন্সিফ খেলা বাদ দিয়ে অ্যাটাক ইজ দ্যি বেস্ট ডিফেন্স ধরে খেলে এখন।
একই কাজটা করতে পারে নি বাংলাদেশ,বার্সালোনা,ইন্ডিয়া।বার্সালোনা স্পিডি খেলোয়াড় কিনেও টিকিটাকা ছাড়তে পারে নি,ইন্ডিয়া পারেনি কোহলির ওপর নির্ভরতা কমাতে।এখনো কোহলির সামনে অন্য কোনো ভারতীয় টিমের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নেহায়েতই বিন্দুর মত।
বাংলাদেশ পারেনি নিজেদের শক্তি দুর্বলতা খুজে বের করতে।নিজেদের খেলার ধরনে একটুও পরিবর্তন আনতে পারেনি।২০০৭ বিশ্বকাপে যেমন মানসিকতা নিয়ে খেলতো এখনো সেইম মানসিকতা নিয়ে খেলে।রুট লেভেলে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসেনি।এখনও স্কুল টিমে খেলোয়াড় বাছাই হয় কে সবচেয়ে ভালো ডিফেন্স করতে পারে সেই হিসাবে।আর রুট লেভেলে লীগের কথা কি বলবো যেখানে প্রথম বিভাগেই হরদম দুর্নীতি চলে।
পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক জিনিস। পরিবর্তন দরকার। ইতালি,আর্জেন্টিনা অথবা ইংল্যান্ডের মত হতে হলে পরিবর্তন আনতেই হবে। ডোমিংগোর মত বেহায়া আর নিলজ্ব জীবনেও ভালো কিছু করতে পারবে না।
[মশিউর রহমান – এর ফেইসবুক থেকে]