নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তিন আসামি বাদল, কালাম ও সাজুকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এ তিন আসামিকে সাথে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সেপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাড়িতে যান। এ সময় পিবিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সাথে ছিলেন।
পিবিআই কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বসতঘরে ঘটনাস্থল ও আশপাশ ঘুরে ঘুরে দেখেন। তবে, এ সময় তারা কারো সাথে কথা বলেননি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে পিবিআই নোয়াখালীর ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নির্যাতিতা ওই নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শনে যান। এ সময় মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রামের তদন্ত বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদ ও মামলা দুটির সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ভুক্তভোগীর দায়ের করা দুটি মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করে ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে। এছাড়া পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা করা হয় ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানকে।
প্রসঙ্গত, ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত হয়েছে ৫ জন।