বৃহত্তর দিনাজপুর তথা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ ও দিনাজপুরের মানুষের যোগাযোগের সুবিধার জন্য পঞ্চগড় থেকে রাজশাহী রুটে চালু হচ্ছে আন্তনগর ট্রেন। এই নতুন ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’। রেলমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রেলপথ মন্ত্রীর নিজ জেলা পঞ্চগড়ের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধার নামের সঙ্গে মিল রেখে নিজেই এই ট্রেনের নামকরণ করেছেন ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’।
পঞ্চগড়ের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন জানান, পঞ্চগড়-রাজশাহী এবং রাজশাহী-পঞ্চগড় রুটে প্রথমবারের মত ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ চালুর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা। পঞ্চগড় থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ছেড়ে যাবে সকাল সাড়ে ৮টায়। ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছাবে ৯ ঘণ্টা পর। আবার রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।
রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই নতুন ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় থেকে রাজশাহী পর্যন্ত নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাওয়ায় পঞ্চগড়বাসীসহ বৃহত্তর দিনাজপুরের মানুষের ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’র পর দীর্ঘদিনের আরেকটি প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। পঞ্চগড়সহ বৃহত্তর দিনাজপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পঞ্চগড়-রাজশাহী, রাজশাহী- পঞ্চগড় ট্রেন চলাচলের। রেলমন্ত্রী সম্প্রতি পঞ্চগড়ের এক সভায়, ১৫ অক্টোবর থেকে পঞ্চগড়-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেন।
ট্রেনটি পঞ্চগড়, রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জ, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, হিলি, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট, সান্তাহার, নাটোর, আব্দুলপুর ও রাজশাহীতে থামবে। একইভাবে ফিরতি পথে এসব স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করার কথা রয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এই ট্রেনটি চালুর ফলে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের শিক্ষার্থীদের জন্য যাতায়াত সহজ হলো। এত দিন সরাসরি কোন ট্রেন যোগাযোগ ছিল না। শিক্ষার্থীরাও দীর্ঘদিন ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছিল।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ । রংপুর