বর্তমান সময়ে নানা ভাবে বিতর্কিত হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে কিছু বদমেজাজি, অদক্ষ, নামধারী মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য। যারা নানাভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন রংপুরের বদরগঞ্জের ইসমাইল হোসেন।
ইসমাইল হোসেন বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও বলাৎকার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন
পরিবার ও থানা সূত্র জানায়, গত সোমবার মাদরাসার ছাত্রদের দিয়ে সড়কের মোড় ও বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা কালেকশন করানো হয়। সেই ছাত্রদের মধ্যে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রও ছিল। দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে মাদরাসায় ফেরে ছাত্রটি। রাতের খাবার খেয়ে সে সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে অফিস কক্ষে ডাকেন শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। সেখানে তাকে জোরপূর্বক শারীরিকভাবে বলাৎকার করেন তিনি। পরে ওই ছাত্রকে তার কক্ষে পাঠিয়ে দেন শিক্ষক। গেল মঙ্গলবার দুপুরে মাদরাসা থেকে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনাটি পরিবারকে অবগত করে ওই ছাত্র।
পরে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা মাদরাসা কমিটির কাছে বলাৎকারের বিচার দাবি করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এতে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে জড়ো হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওই রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মাদরাসা কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, শিক্ষক ইসমাইল হোসেন রংপুর সদরের মমিনপুর ইউনিয়নের হল্লাইপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ উঠায় মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। এ সময় পুলিশ এসে ইসমাইল হোসেনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, নির্যাতিত ছাত্রের অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদরাসা থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।