সাম্প্রতিক সময়ে থাইলান্ডে এত বড় কোন জন আন্দোলনের দৃশ্য দেখল সারা বিশ্ব। মূলত: রাজার ক্ষমতা খর্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ হয়ে আসছিল । আর এই আন্দোলন থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার; নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমাবেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে।
বিবিসির বরাত দিয়ে জানা যায়, জরুরি অবস্থা কার্যকর হওয়ার পরপরই দাঙ্গা পুলিশ প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও পারেনি। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর রাস্তায় কয়েকশ পুলিশ দেখা গেছে। ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।
দেশটির সরকার বলছে, রাজকীয় মোটর শোভাযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জারি করা জরুরি ডিক্রি থাই পুলিশের পক্ষ থেকে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এতে বলা হয়েছে, “দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এই পরিস্থিতির (বিক্ষোভ) অবসান ঘটিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল।”
মূলত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী রাজধানীতে জড়ো হয়। একইসঙ্গে রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবিও জানাচ্ছে তারা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়।