বৈশ্বিক মহামারি করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় ফ্রন্টলাইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন পুলিশ ও ডাক্তার। এ দু’শ্রেণির মানুষের অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। করোনাকালীন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই শিরোনাম হতে দেখা গেছে চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের নানান অসুবিধা এমনকি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মত ঘটনা। আবার এই দু:সময়ে নিজের জীবন বাজী রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অনেক চিকিৎসক। করোনার এ দূর্যোগে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রশংসিত হয়েছেন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ (সিপিএইচ) হাসপাতালের ডা.খালিদ মোহাম্মদ ইকবাল। এ হাসপাতালের পুলিশ কর্মকর্তা হতে শুরু করে,পুলিশের প্রতিটি সদস্য, ডাক্তার,নার্স,কর্মকর্তা,কর্মচারী সবাই রোগীদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক।
করোনার এদূর্যোগে অনেকে নিজেদের গুটিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে ব্যাস্ত ছিলেন, তখন মানবতার সেবা নিয়ে ছুটে চলেছেন ডা.ইকবাল। করোনা প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে যেন থেমে নেই তার অন্তহীন ছুটে চলা। করোনা যুদ্ধে আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মেধা, সাহস ও সততার প্রতীক তিনি। সুন্দর ব্যবহার আর মার্জিত আচরণে তাকে করে তুলেছে অসাধারণ একজন। চারিদিকে যখন আতঙ্ক, নিজের নিরাপদ জীবন নিয়ে সকলে শঙ্কিত, তখন একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসপাতালের রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। প্রাণঘাতী করোনা তাকে দমাতে পারেনি বরং তার কর্মব্যস্ততা বাড়িয়েছে। করোনায় নিজের প্রাণনাশের আতঙ্ক থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ড হতে রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ছুটে চলেছেন এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে।
মানুষের কষ্ট দেখে তার হৃদয়ে রোদন ছিল। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্য ব্যতীত করোনা রোগীদের অসহায়ত্ব দেখে তিনি অশ্রুসজল হতেন। মনে হতো তারা হয়তো তার পরিবারের কেউ।
আবেগের যুদ্ধে জয়ী হয়ে ডাক্তার ইকবাল সকলের হৃদয়ে মানুষকে ভালোবাসার গাঢ় ছাপ রেখেছেন। স্মৃতির মেঠোপথ ধরে যাপিত জীবনের ধূসর মায়াজালে তিনি সবার মাঝে মানবিক ডাক্তার হয়ে থাকবেন। ডা.ইকবাল বলেন, আমাদের আবেগগুলো যেন পেছনে পড়ে না যায়। জটিল ও যান্ত্রিক জীবনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মব্যস্ততায় আমরা যেন মানুষের বিপদের কথা ভুলে না যাই। এজন্য সকলকে মিলেমিশে কাজ করার আহবান জানান।