রাজধানীতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি ও কোয়াব। প্রধান সড়ক কিংবা বাসা-বাড়ির সামনে আর তারের স্তুপ ঝুলবে না। মাত্র একটা অপটিক্যাল কেবলে সংযুক্ত থাকবে প্রতিটি ভবন, যা কমন নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার হবে। এখান থেকে পছন্দমত যেকোন কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকরা, এরজন্য গ্রাহককে দিতে হবে না কোন বাড়তি খরচ।
এর আগে দুই সংগঠনের নেতারা এই কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় আইএসপিএবি, সভাপতি আমিনুল হাকিম, মহাসচিব ইমদাদুল হক ও কোয়াব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার পারভেজ এই কাজের উদ্বোধন করেন।
এইচডি ড্রিলিং মেশিনের মাধ্যমে সিটি কলেজ প্রান্ত থেকে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ১০০ মিটার পর পর ‘বোরিং কল’ স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়ে এই মিশন।
চলতি সপ্তাহেই ধানমন্ডি এলাকায় এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে আইএসপিএবি। এর সুবাদে প্রতিটি ভবনে লাইন টানা হবে মাটির নীচ দিয়ে। যা ব্যবহার করতে পারবেন সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এটি বাস্তবায়নে নীতি সহায়তা চায় আইএসপিএবি। তবে এনটিটিএন অপারেটরা বলছেন, এই উদ্যোগ হতে হবে সমন্বিত, বাস্তবায়ন করতে হবে ট্রান্সমিশন নীতিমালা অনুসরণ করেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গত আগস্ট মাস থেকে মাটির নিচ থেকে সংযোগের কোনো ব্যবস্থা না করেই আইএসপি ও ক্যাবল টিভি অপারেটরদের লাইনগুলো অপসারণ করা শুরু করে। এতে গত দুই মাসে আনুমানিক ২০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আইএসপিএবি ও কোয়াবকে। এছাড়াও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ৩৩টি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক, ১ লাখেরও বেশি চাকরিজীবী এবং ১ হাজার আইএসপি ও কোয়াব সদস্য চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এরপর গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে বৈঠকের পর আইএসপিএবি ও কোয়াব ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। আর রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে উভয় সংগঠনের আলোচনার ভিত্তিতে নিজেরাই আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলিংয়ের মিশন শুরু করছে সংগঠন দুটি।
নভেম্বরের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলে থাকা সব তার অপসারণের সময় বেধে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।