মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) কে অবমাননা করে কার্টুন নির্মাণ করায় বিশ্বের অনেক দেশে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষকরে মুসলিম বিশ্বে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। ইতিমধ্যে ফ্রান্সের যাবতীয় পণ্য বয়কট করেছে কুয়েত। বিভিন্ন মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে হ্যাশ ট্যাগ (#BoycottFrenceProducts, #BoycottFrence) ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের এ আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বিশ্বব্যাপী।
গেল ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসের শহরতলী এলাকায় এক স্কুল শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখিয়ে ছিলেন। তারপর তাকে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনার পর ফ্রান্সের পুলিশ দেশটির অন্তত ৫০টি মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান চালায়।
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিতর্কিত কার্টুন ছাপানোর পর ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি এবদোতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আবারও সেটি ছাপিয়েছে ম্যাগাজিনটি। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও এর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হজরত মুহাম্মদের (সা.) বিতর্কিত কার্টুন ছাপানো নিয়ে নিন্দা জানাবেন না। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ম্যাক্রোঁর এই উস্কানিমূলক ঘোষণার পর সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে বয়কট আন্দোলন।