রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর নতুন করে আবার ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৫ জানুয়ারি। এতে শুধু সমান ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গত বুধবার (০৪ই জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে ২৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোঃ শাহাজাদা আরমান দুজনেই সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১৯৭ ভোট পান। সমান ভোট পাওয়ায় ওই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে আবারও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হবে।
ইসির প্রজ্ঞাপনে ওইদিন পুনরায় ভোট গ্রহণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ মোতাবেক রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যে দুজন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন, শুধু তাঁদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজাদা আরমানের বিরুদ্ধে হামলা, বাড়ি-ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলু। আবার সাইফুল ইসলাম ফুলুর বিরুদ্ধে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী এম.এ রাজ্জাক কে হামলা ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ করেছেন তার কর্মী-সমর্থকেরা। তাই এমন পরিস্থিতিতে ২৬ নং ওয়ার্ডে পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৭ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১টায় রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন। ২৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এম এ রাজ্জাক মণ্ডল (লাটিম) প্রতীকে ১ হাজার ৮৯২ ভোট পান এবং মো. শাহাজাদা (ঠেলাগাড়ি) ও মো. সাইফুল ইসলাম ফুলু (ঘুড়ি) প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৯৭ ভোট পান। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৬১৬ জন।