যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সাকিবের এবারের দেশে ফেরাটা অন্যরকমের। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে দেশে ফিরলেন তিনি।
বিমান বন্দরে সাকিবকে স্বাগত জানাতে মধ্যরাতেও বেশ কিছু সমর্থক জড়ো হন। এছাড়া সংবাদমাধ্যমকর্মীরাও সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় ফেরার পর করোনা টেস্ট করার কথা রয়েছে সাকিবের। টেস্টের রিপোর্ট ইতিবাচক আসলে কয়েক দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনে নামবেন তিনি। এরপর বিসিবি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেবেন সাকিব।
এর আগে নিষেধাজ্ঞায় থাকাকালীন শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে বিকেএসপিতে ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য অনেকটা চুপিসারেই দেশে এসেছিলেন নম্বর সেভেন্টি ফাইভ।
পরে সিরিজ স্থগিত হওয়ায় আবারো যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে যান সাকিব।
নিষেধাজ্ঞার পর সাকিব এক বার্তায় অনুজ ও সতীর্থদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির কোনো প্রস্তাব হালকাভাবে নিও না। দ্রুত দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানাতে ভুল করো না।’
যদিও করোনা ও নিষেধাজ্ঞাকে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন সাকিব।
বুধবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বলেন, করোনা ও নিষেধাজ্ঞা এ দুটি ব্যাপার আমাকে জীবন নিয়ে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে শিখিয়েছে। অনেক বেশি চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছে। হয়তো এমন লড়াইয়ে না থাকলে মানুষ শিখতে পারে না।
এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে ফিরলে মানুষ অনেক বেশি পরিপক্ব হয়। আমারও সেই চেষ্টা থাকবে। এক বছর আগে যেভাবে চিন্তাভাবনা করতাম এখন তার চেয়ে অনেক বেশি করি। এটিই হয়তো আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
অবশ্য নিষেধাজ্ঞা তেমন একটা ক্ষতি করতে পারেনি সাকিবের।
ওয়ানডে অলরাউন্ডারের র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আর সর্বশেষ র্যাংকিং আপডেটে দেখা গেছে, শীর্ষেই আছেন তিনি। করোনার কারণে খেলা স্থগিত থাকায় মোহাম্মদ নবী, ক্রিস ওকস, বেন স্টোকসদের কেউই তাকে পেছনে ফেলতে পারেনি।