রাজধানীর অন্তত ৯ স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে আজ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতার উদ্দেশেই সরকারি বাস ও রাস্তায় চলাচল করা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে ককটেলসহ রাজধানীর তুরাগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে কর অঞ্চল ১৫-তে পার্কিং করা সরকারি গাড়িতে (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৪৭৪) অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
তারপর দুপুর ১টার দিকে মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৫১৫), ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলন্ত গাড়ি (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৫-০৫৮৯) ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৩-১৫৭২), ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-০৬৪৪) এবং বংশালের নয়াবাজার এলাকায় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১- ৯২৫৫) আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
এরপর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন এলাকায় জৈনপুরী পরিবহন (চট্ট-মেট্রো-জ-১১-০৭১৮), ৩টায় মতিঝিল থানাধীন পূবালী পেট্রল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৫০০১), ভাটারা থানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৫৩২৫) দুষ্কৃতকারীরা আগুন দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় এসব বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বেশিরভাগ গাড়ির অধিকাংশ পুড়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশের মোবাইল টিম এবং সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।