টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান Google পরিচালিত বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা পরিষেবাগুলির মধ্যে জনপ্রিয় একটি নাম হল Google Photos। এই অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই প্রিয় ছবি বা ভিডিওর ব্যাকআপ রাখা যায়, ডিভাইসের স্টোরেজও বাঁচে। আবার অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাব, আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক বা উইন্ডোজ পিসি যে ডিভাইসই ব্যবহার করুন না কেন এই অ্যাপটি শুধু মাত্র গুগল বা জিমেইল অ্যাকাউন্টের সাহায্যে সহজেই অ্যাক্সেস করা যায় তাও আবার বিনামূল্যে।
গুগল ফটোস টুলটি গুগল ক্লাউড সার্ভারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেড করা। যখনই কোন ইউজার গুগল ফটোসে কোন ফটো আপলোড করে, তখনই এই টুলটি ফটোটিকে ক্লাউড সার্ভারে পাঠিয়ে দেয় এবং সার্ভার সেটিকে সংরক্ষণ করে ফেলে। তবে ২০২১ সালের ১লা জুন থেকে ফটোজ অ্যাপে আপলোড করা যেকোনো ছবি গুগল ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে ১৫জিবি স্টোরেজ দেওয়া হয় তার হিসাবের মধ্যে ধরা হবে।
এর বাইরে কেউ গুগলের কাছ থেকে স্টোরেজ বা জায়গা কিনলে সেখানে ভিডিও বা ছবি জমা থাকবে। গুগল ড্রাইভ ও জিমেইলের তথ্য এভাবেই হিসাব করা হয়। এখন থেকে গুগল ফটোজও এ হিসাবের মধ্যে পড়বে।
তবে সুখবর হচ্ছে, আগামী বছরের ১ জুনের আগে যেসব ছবি ব্যাকআপ নেওয়া হবে তা গুগলের অ্যাকাউন্ট স্টোরেজের আওতায় পড়বে না।
বর্তমানে গুগল ফটোসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ১০২ কোটি ছবি স্টোর করা হয়। গুগল তার ফোটো এডিটিং স্যুট আরও উন্নত করতে চলেছে। পাশাপাশি এবার থেকে গুগল ফটোস -এর কালার পপ অপশন ব্যবহার করতে গেলে টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহকদের।
গত মাসেই অ্যানড্রয়েড ইউজারদের জন্য সাজেশনসহ নতুন এডিটিং অপশন নিয়ে হাজির হয়েছিল গুগল। গুগল ফটোসের সেই ফিচারে ব্যবহারকারীরা ছবি এডিটও করতে পারছিলেন। ছবির লুক আরও চাকচিক্যবহুল করতে সেখানে কালার পপ অপশনও যোগ করা হয়েছিল। এবার এই কালার পপ ফিচারে আরও বেশি করে ছবি অ্যাড করা যাবে বলে জানানো হয় গুগল-এর তরফ থেকে।
পাশাপাশি জানানো হয় যে, গুগল ফটোস-এর এই কালার পপ অপশন ব্যবহার করতে গেলে এবার থেকে ইউজারকে টাকাও দিতে হবে। আর তার জন্য গুগল ফটোস ব্যবহারকারীকে গুগল ওয়ান-এর সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। এছাড়া আরও জানা গিয়েছে যে, কিছু দিনের মধ্যেই গুগল ফটোস-এর এই কালার পপ অপশনে আরও নানাবিধ ফিচার্স যোগ করা হবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, গুগল চাইছে আরও বেশি মানুষ যাতে তাদের সেবা অর্থ দিয়ে ব্যবহার করুক। গুগল ওয়ান নামের সেবার সাবসক্রিপশন বাড়াতেই এ পদক্ষেপ।
গুগল-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বলা হচ্ছে, ‘ গুগল ফটোস -এর এই কালার পপ ফিচারটি যে কোনও মানুষের জন্য ফ্রি-তেই উপলব্ধ। ডেপথ ইনফরমেশন, যেমন পোর্ট্রেইট মোডের যে কোনও ছবি তুলে তা ফ্রি-তেই এডিট করা যাবে। তবে বহু ছবির জন্য গুগল ফটোস-এর ইউজারদের গুগল ওয়ান সাবস্ক্রাইব করতে হবে।’
গুগল ফটোস-এ ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু প্রিমিয়াম ফিচার যোগ করতে চলেছে গুগল। এক্সডিএ ডেভেলপারেরা গুগল ফটোস ৫.১৮ আপডেটের কোডে প্রবেশ করে দেখতে পান যে, প্রিমিয়াম এডিটিং ট্যুল নিয়ে কাজ করছে গুগল। আর সেই এডিটিং ট্যুল এখন গুগল ওয়ান মেম্বারশীপ-এর আওতায়। যদিও নতুন এডিটিং ট্যুলে আর কী কী যোগ করা হতে পারে, তা নিয়ে এখনও অবধি কিছুই জানানো হয়নি গুগলের পক্ষে।