ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীদের ‘গুপ্ত হামলায়’ দেশটির শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরিজাদেহ নিহত হয়েছেন।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিনকে নিয়ে একটি গাড়িটি তেহরানের পূর্বাঞ্চল দামাভান্দ এলাকায় পৌঁছালে সআততায়ীরা প্রথমে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে।
গুরুতর অবস্থায় মোহসিনকে উদ্ধার করে মি. ফখিরাযাদে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, নিহত মোহসেন ফখরিযাদে ইরানের সবচেয়ে প্রবীণ পরমাণু বিজ্ঞানী। যিনি ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান।
ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ফখরিযাদে। যিনি ইরানে ‘বোমার জনক’ নামে পরিচিত। তার মর্যাদা ছিল মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও রেভরল্যুশনারি গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের সমান।
প্রবীণ এই পদার্থ বিজ্ঞানী ১৯৫৮ সালে ইরানের শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র নগরী হিসিবে পরিচিত ‘কওম’ নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পরমাণু প্রকৌশল নিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। ইরানের ‘ইউনিভার্সিটি অব ইমাম হোসেইন’র পরমাণু বিভাগের অধ্যাপকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন মোহসেন ফাখরিযাদে।
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের চারজন পরমাণু বিজ্ঞানী আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এবং এইসব হত্যার ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত বলে ইরান অভিযোগ করে আসছে দেশটি। ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার বলেছেন এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়া হবে।