বাংলাদেশে তিন হাজারের বেশি রেল সেতু রয়েছে। যেগুলো সবই ছোট। এখনো পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু হল পাবনার পাকশীতে পদ্মা সেতুর উপরে একশ বছরের পুরনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
কিন্তু যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুটি নির্মাণ হলে সেটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু। এর বেশিরভাগ অর্থ আসছে জাপানি ঋণে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা, স্থাপনাগুলোর কাঠামো ও নানা যন্ত্রাংশ দিচ্ছে যে দেশগুলো, জাপান তার মধ্যে একটি।
প্রধানমন্ত্রী এক পর্যায়ে তার বক্তৃতায় বলেছেন, “জাপানের মত বন্ধু যাদের সাথে আছে তাদের আর চিন্তার কিছু নেই।”
এই প্রকল্পের পরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল আহসান।
তিনি জানিয়েছেন যমুনা নদীর উপরে যে বঙ্গবন্ধু সেতু রয়েছে, সেই সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে এটি নির্মিত হচ্ছে, যার দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার।
বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তার উপর দিয়ে বর্তমানে ৩৮ টি ট্রেন চলাচল করে। রেল সেতুটি নির্মাণ হয়ে গেলে ৮৮ টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সেসময় নতুন রুট চালু করা হবে।
বর্তমানে যে রেল সেতুগুলো রয়েছে তাতে একটি করে লাইন রয়েছে। এই সেতুটিতে দুটি রেল লাইন বসবে।
যার ফলে কোন ট্রেনকে সেতু পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। একসঙ্গে দুটো ট্রেন দুদিকে চলে যেতে পারবে।
মি. আহসান জানিয়েছেন যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তা পার হতে দুইপাশে অপেক্ষা ছাড়াও সড়ক সেতু হওয়ায় ওজন ও গতির বিষয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এখন বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে।
অন্য রেল সেতুগুলোর ক্ষেত্রে গতি আরও কম। এই সেতুটিতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারবে।
মি. আহসান জানিয়েছেন যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে যে রেললাইন রয়েছে তা পার হতে দুইপাশে অপেক্ষা ছাড়াও সড়ক সেতু হওয়ায় ওজন ও গতির বিষয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এখন বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে।
অন্য রেল সেতুগুলোর ক্ষেত্রে গতি আরও কম। এই সেতুটিতে ঘণ্টায় সর্বচ্চো ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারবে।