আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়াকে দায়ী করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে পম্পেও বলেন, ‘আমরা এটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, এই ঘটনায় রাশিয়ার হাত রয়েছে।’ সূত্র :বিবিসি
এদিকে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাদের সিস্টেমে ক্ষতিকর সফটওয়্যারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের ৪০টির বেশি সেবাগ্রহীতা সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই তালিকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ৮০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো কানাডা, মেক্সিকো, বেলজিয়াম, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে। এসব হামলার পেছনে রাশিয়ার সরকারের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে দেশটি তা অস্বীকার করেছে। দেশটি জানিয়েছে, এ ধরনের হামলায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তবে মস্কো কীভাবে এই হামলা চালিয়েছে বা কেন তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হলো, এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায় নি। গত সপ্তাহেই সাইবার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র-ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থাও হামলার শিকার হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দফতর দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। ফলে এ রকম সাইবার হামলা পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকির। তবে দেশটির জ্বালানি দফতর বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।