দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গারা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে রোহিঙ্গা দলটি ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। নৌবাহিনীর জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে যাত্রা করে।
রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দলে ৪২৭টি পরিবারের ১ হাজার ৭৭২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে চট্টগ্রাম রওনা হয় এই রোহিঙ্গারা। তাঁদের নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৭টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা গত রোববার থেকে নিজ নিজ শিবিরের কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এখন তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে। এর আগে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটক আরও তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। টেকনাফ নয়াপাড়া ও উখিয়ার কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ক্যাম্পের মাঝিরা বলেন, গতবারের উল্টো এবারের চিত্র। ওই সময় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে অনেক বোঝাতে হয়েছে। কিন্তু ২০ দিনের মধ্যে চিত্র পাল্টেছে। এবার রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে নিজেরাই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ভাসানচরে ৪ ডিসেম্বর যাদের আত্মীয়স্বজন গেছে, তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধার খবর শুনেই অনেকেই যেতে উদগ্রীব।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন পুরনো মিলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন বসবাস করছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে। প্রাথমিকভাবে সেখান থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয় সরকার।