আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- যেকোনো আন্দোলনই যদি আমরা দেখি সব থেকে বেশি রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্য কোনো দলে এটা খুব বেশি পাওয়া যাবে না, আমাদের ছাত্রলীগে সব থেকে বেশি।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে আগামীতে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ সময় কিছু গণমাধ্যম ছাত্রলীগের ভালো কাজ দেখে না বলেও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে ছাত্রলীগের। তিনি জানান, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করাই ছিল জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আবার উন্নতি করতে পারে, এটা তারা কখনো মানতে চায়নি। বরং বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। সেই চক্রান্ত এখনও চলছে।”
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করে। অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা তো সক্রিয় ছিল। দেশীয় এবং বিদেশি এজেন্টরা সবসময় সক্রিয় ছিল। তিনি সাড়ে তিন বছর হাতে যে সময় পেয়েছিলেন এ সময়ে একটা স্বাধীন দেশকে গড়ে তোলার সব কাজের ভিত্তিটাই তিনি তৈরি করে দিয়ে যান।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সঞ্চালনা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির হাজারো নেতাকর্মী। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট, ঢাকা মহানগর ইউনিটসহ বিভিন্ন থানা ইউনিটের নেতা।