শৈত্যপ্রবাহ পৌষের শেষ দিকে এসে বিদায় নিয়েছে বলা যায়।
তবে আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চল থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
শীত বাড়লে দুর্ভোগে পড়ে হতদরিদ্র মানুষ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার শীত শুরু হওয়ার আগেই কম্বল বা শীতবস্ত্র বরাদ্দ দেয়া হয়। ইতোপূর্বে শৈত্যপ্রবাহের সময় পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আবারো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র সরবরাহে প্রস্তুত তারা।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জানান যে, ‘আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে ১২ বা ১৩ জানুয়ারির পর থেকে দু-এক জায়গায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। ওই সময় পর্যন্ত তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়বে, আবার হঠাৎ কমে গিয়ে আবার বেড়ে যেতে পারে, কিন্তু তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।’
নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে তা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আভাস দেন আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের কম্বল আমরা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করেছি। এছাড়া শীতবস্ত্র কিনে বিতরণের জন্য সব জেলায় অর্থ দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শীত বাড়লেও শীতবস্ত্র সরবরাহের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। কোনো জেলা থেকে চাহিদা আসলেও আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তা দিতে পারব। অর্থ সংকট নেই, অর্থ বরাদ্দ দিলে তারা শীতবস্ত্র কিনে নিতে পারবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থা অধিদফতরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সারাদেশে ২৬ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ৩০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবার শীত কম, তাই অন্যবারের মতো সেভাবে চাহিদা আসেনি। এছাড়া আগে থেকেই প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরং চাহিদার চেয়ে বেশি বরাদ্দ রেখেছি। কোথাও থেকে চাহিদা এলে আমরা তা পূরণ করব।’