পদ্মা-যমুনায় অতিরিক্ত কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় এবং দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে দিক ভুলে যাওয়ার ফলে মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর ফেলে আছে ৪টি ফেরি। গত কয়েকদিন যাবৎ লাগাতারভাবে অতিরিক্ত কুয়াশা পরায় নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
আজ ভোর রাত ৩টার দিকে পদ্মা নদীতে অতিরিক্ত কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে কয়েক শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির ঘাট কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, মধ্যরাত থেকেই নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ভোর ৩টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এসময় মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয় ৪ টি ফেরি। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় ফেরি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। আর এতে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে।এতে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে আসা কয়েকশত যানবাহন ঢাকা খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে।
যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় কয়েকশত যানবাহন। মঙ্গলবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। ফেরি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পরেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘাট পার হতে আশা যাত্রী ও চালকেরা।
পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। বর্তমানে ফেরির সংখ্যা কমে ২০টির মধ্যে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পার করা হচ্ছে। আর ফেরি ঘাট সচল রয়েছে ৬টির মধ্যে ৩টি।