আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি টিকা সংগ্রহের আগেই ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ করেছিল। এখন তারা টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। বিএনপির কল্পিত অভিযোগ ও টিকা নিয়ে অপপ্রচার এক সূত্রে গাঁথা।”
আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নিজ বাসায় এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ন্যাক্কারজনক রাজনীতি করছে। যেমন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও তারা চিকিৎসার চেয়েও রাজনীতি করেছে বেশি। সরকারের অন্ধ বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদেরকে এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরসহ বেশ কিছু জেলা কমিটি এরইমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেসব জেলা কমিটি এখনও দেওয়া হয়নি সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন দেওয়া হবে।”
দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চায় শেখ হাসিনা অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দল শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে। ঘোষিত কোনো কমিটির বিষয়ে কারো অভিযোগ থাকলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ধানমন্ডির সভাপতির কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে এরই মধ্যে দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেসব কাউন্সিলর বিদ্রোহ করছেন তারাও কঠোর সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় পড়বে। সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে।”
ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালির অভূতপূর্ব জাগরণের দিন আজ।”
ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের যে স্বাধীনতার সংগ্রাম, সেই ইতিহাসে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
পুলিশের গুলিতে নিহত নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, “সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে গণ অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।” এ সময় তিনি শহীদ আসাদের আত্মদানের কথাও স্মরণ করেন।