ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা তিন কোটি ডোজ করোনা টিকার প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসে পৌঁছেছে। আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারতের পুনে থেকে দিল্লি হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সিরামের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা দেশে আসলো।
টিকার চালান গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিংয়ে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, “আজ শুধু সরকারের ৫০ লাখ টিকা এসেছে ,তাদের আলাদা ১০ লাখ টিকা আসেনি। সেটি আলাদা আসবে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে এই টিকা পৌঁছে দেয়া হবে বেক্সিমকোর নিজস্ব পরিবহনযোগে।”
বিমানবন্দরে আগে থেকেই বেক্সিমকোর গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ওই গাড়িতে করে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে টঙ্গিতে বেক্সিমকোর ওয়্যার হাউজে। সেখাসেই সংরক্ষণ করা হবে ভ্যাকসিনগুলো।
ভ্যাকসিনবাহী বেক্সিমকোর মিনি কাভার্ড ভ্যানগুলোকে কঠোর পুলিশ প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হবে। বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তাজুল গণমাধ্যমকে বলেন, “বিমানবন্দর থানার একটি ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মোট দু’টি টিম আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ভ্যাকসিনের মিনি কাভার্ড ভ্যানগুলো স্কোয়াড করে নিয়ে যাবে। এরপর গাজীপুর জেলা পুলিশের টিম আব্দুল্লাহপুর থেকে নিয়ে যাবে।”
এর আগে, গতকাল রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, “টিকার ক্ষেত্রে বেক্সিমকো কেবল ডিস্ট্রিবিউটরের দায়িত্ব পালন করছে। এক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে ডোজপ্রতি এক ডলার করে কমিশন পাবে বেক্সিমকো। পরিবহনের সময় কোনো ভ্যাকসিন নষ্ট হলে সেটির দায় বেক্সিমকোর, আর প্রয়োগের পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলে তার দায় সরকারের।”
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা যায়, দেশে আসা ৫০ লাখ ডোজ করোনা টিকা গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে। দেশে এই ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর গুদামে দুইদিন রাখা হবে। তারপর সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকা দেয়া শুরু হতে পারে।