আল্লাহর ইচ্ছায় প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ঋতুর পালাবদল ঘটে। কনকনে হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী-অধ্যুষিত অঞ্চলে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং মানুষের অসহায়ত্বকে প্রকট করে তোলে। তাই শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। নিঃস্বার্থভাবে শীতার্ত মানুষের সাহায্য ও সেবা করাই মানবতার সেবা। এমন মহৎ ও পুণ্যময় কাজই সর্বোত্তম ইবাদত। অসহায় মানুষকে দুর্দিনে সাহায্য, সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মানসিকতা যাদের নেই, তাদের ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। সুতরাং নামাজ, রোজার সঙ্গে জনকল্যাণের তথা মানবিকতা ও নৈতিকতার গুণাবলি অর্জন করাও জরুরি।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোতে কোনো পুণ্য নেই, কিন্তু পুণ্য আছে কেউ আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, সব কিতাব ও নবীর প্রতি ইমান আনয়ন করলে এবং আল্লাহ-প্রেমে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থীদের ও দাস মুক্তির জন্য অর্থ দান করলে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করলে, জাকাত দিলে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে; অর্থসংকটে, দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। এরাই তারা, যারা সত্যপরায়ণ এবং তারাই মুত্তাকি।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭৭)
আপনারা জানেন উত্তরাঞ্চলে একটু শৈত্যপ্রবাহ বেশি।তাই প্রতি বছর এর ন্যায় এবছর কিছু নিরীহ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করলো রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রোভার স্কাউট গ্রুপের রোভাররা, স্যার দের সহযোগীতায় এবং রোভার স্কাউট লিডার মহাদেব কুমার গুন, রোভার স্কাউট লিডার আতিকুর রহমান স্যার এর নির্দেশনায় রংপুর পলিটেকনিক এর অধ্যক্ষ মহোদয়ের উপস্থিতিতে কলেজের কর্মচারী সহ বিভিন্ন পেশার শীতার্ত মানুষের মাঝে নিজেরা অর্থ প্রদান করে এবং অনুদান সংগ্রহ করে শিতবস্ত্র বিতরণ করে।
যারা শীতবস্ত্র বিতরণে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ দেন রোভাররা।