একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তবে দেশের মানুষ সতর্ক আছে, সজাগ আছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ’একুশের চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই সরকারের ভিত্তি তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী আছে। সুতরাং এই ছোটখাটো কাতুকুতু দিয়ে লাভ হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে কপি পেস্ট রিপোর্ট করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের জনগণকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অনেকের পছন্দ নয়। যারা সহযোগিতা করছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই-এই খেলা খেলে লাভ নেই। একটি শক্তিশালী দেশের শক্তিশালী নেতৃত্ব, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গিয়েছিল। এ ষড়যন্ত্রও ভেস্তে যাবে।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘দেশে সঠিকভাবে করোনা মোকাবিলা করতে শেখ হাসিনা সক্ষম হয়েছেন।করোনাকালে পৃথিবীর সব দেশে যখন ঋণাত্মক জিডিপির প্রবৃদ্ধি সেখানে আমাদের পজিটিভ জিডিপি প্রবৃদ্ধি।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটি অনেকের পছন্দ নয়।’
ড. হাছান এ সময় ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার মাস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রথম স্ফুলিঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘ইতিহাস কখনো চাপা থাকে না, ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঢাকার কার্জন হলে ‘উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেইসময় যে প্রতিবাদ হয়েছিল, তা তুলেছিলেন সেসময়ের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহ’র ঘোষণার প্রতিবাদে প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে দীর্ঘ অন্তরীণের মধ্যে ভাষার দাবিতে, হত্যা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনশন করেছিলেন। এ ইতিহাস সবার জানা নেই।’
ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধিকার আদায়ের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’ শ্লোগানে মুক্তির মন্ত্রে জাগ্রত করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন এবং প্রথমবারের মতো বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন’ উল্লেখ করেন ড. হাছান।
ব্যারিস্টার জাকির আহমদের সভাপতিত্বে সভায় স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, হকার্স লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।