জার্মেইন ব্ল্যাকউড আর জশুয়া ডা সিলভা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু ৯৯ রানের সেই প্রতিরোধ যখন ভেঙে দিলেন নাঈম হাসান, এরপর বালির বাধের মতই বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রবল তোড়ে ভেসে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি ব্যাটিং শক্তি। ৫ উইকেটে ২৫৩ রান থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়রা অলআউট ২৫৯ রানে। ৬ রানে পড়লো ক্যারিবীয়দের শেষ ৫ উইকেট। বল লাগলো মোট ২৩টি।
শেষ মুহূর্তে মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত বোলিং করলেন। তার ঘূর্ণির সামনেই বলতে গেলে নাকাল হয়েছে ক্যারিবীয়রা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করার পর বল হাতে নিলেন ৪ উইকেট। দারুণ অলরাউন্ড নৈপূণ্য প্রদর্শণ করলেন মিরাজ।
স্পিনারদের দাপট আর বেশ কিছু ভুলের খেসারত দিলেও প্রথম সেশনটা ছিল বাংলাদেশেরই। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জার্মেইন ব্ল্যাকউড এবং জশুয়া ডা সিলভার ব্যাটে ভর করে ভালোই জবাব দিতে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মোট কথা, দারুণ প্রতিরোধও গড়ে তোলে তারা।
এই দু’জনের ব্যাট ভর করে ১৫৪ রান থেকে ২৫৩ রানে গিয়ে পৌঁছায় ক্যারিবীয়রা। অর্থ্যাৎ, ৯৯ রানের জুট গড়ে তোলে তারা। এর মধ্যে আবার দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরিও করে পেলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। শেষ পর্যন্ত এই জুটিতে ভাঙন ধরান নাঈম হাসান।
ইনিংসের ৯৩তম ওভারে নাঈমের বল ব্যাকফুটে গিয়ে পুশ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ফেলেন জশুয়া ডা সিলভা। বল চলে যায় উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। ১৪১ বলে খেলা ৪২ রানের ইনিংসটি শেষ হয় তখই। ভাঙে ৯৯ রানের জুটিও।
পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হলেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এবারও ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ালেন বোলাররা। মিরাজের বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। শেষ হয়ে গেলো ৬৮ রানের ইনিংস। অর্থ্যাৎ ২৫৩ রানে বসিয়ে ক্যারিবীয়দের সেট দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নিল দুই স্পিনার নাঈম এবং মিরাজ।
১৪০ কেজি ওজনের ক্রিকেটার রাকিম কর্নওয়াল মাঠে নেমে করেন মাত্র ২ রান। মিরাজের দারুণ এক ঘূর্ণি বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। কেমার রোচ মাঠে নেমে আর কিছুই করে দেখাতে পারেননি। মিরাজের বলেই ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে। জোমেল ওয়ারিকান মাঠে নেমে একটি বাউন্ডারির মার মারেন। কিন্তু ৭ বল মোকাবেলা করে তিনি বোল্ড হয়ে যান তাইজুলের বলে। সে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।