ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) প্রথমবারের মতো সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করেছেন তিনি।
আমিরাতের এ সফরে নেতানিয়াহু আবুধাবির যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের কথা ছিল। এমনকি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল।
অবশ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইসরাইলের কোনো কর্তৃপক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে এই সফর বা সফর বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
এর আগে বুধবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেতানিয়াহুর পরিকল্পিত সফরের খবর জানানো হয়।
ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সফরের আগে নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরই নেতানিয়াহুর আমিরাত সফরের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও সফর পরিকল্পনার পর উপসাগরীয় দেশের বিমান রুট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ফলে তা বাতিল করা হয়।
নেতানিয়াহুর এই সফর ছিল বেশ কিছু দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক। এটাই হতো ইতিহাসে প্রথম কোনও ইসরায়েলি সরকারপ্রধান রাষ্ট্রীয় সফরে আমিরাতে পা রাখার ঘটনা।
তাছাড়া, মাত্র ১১ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচন। এমন মুহূর্তে আমিরাত সফরে গিয়ে বিশেষ কোনও ঘোষণা দিতে পারলে তা নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়ক হতো বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিক কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ‘ইবরাহিমি চুক্তি’ (আব্রাহাম অ্যাকর্ড) নামে পরিচিত এই চুক্তিতে পরে মরক্কো ও সুদান যোগ দেয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে চুক্তির আওতায় দেশ দু’টি অর্থনীতি, বাণিজ্য,বিমান যোগাযোগ, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ ১৫টি খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় সম্মত হয়।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে উপসাগরীয় অপর দেশ বাহরাইনে নেতানিয়াহু এক দিনের সফরের পরিকল্পনা করলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ওই সফর স্থগিত করেন তিনি।