বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রথম বারের মতো চালু করা হয়েছে সাইকেল লেন। তরুণ সমাজকে মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখতে পতেঙ্গায় উদ্বোধন করা হয় এ লেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) আয়োজিত সিটি আউটার রিং রোডে নিজে সাইকেল চালিয়ে সাইকেল লেন উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তথ্যমন্ত্রী নিজে সাইকেল চালিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লেনের উদ্বোধন করেন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় পরিবেশবান্ধবতার জন্য চট্টগ্রাম শহরে আরো রাস্তায় এই সাইকেল লেইন করার জন্য সিডিএকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই সিডিএ’র কাছে নিবেদন ছিল এখানে একটা সাইকেল লেইন রাখার। আমি বিদেশে পড়ালেখা কালে সাইকেল চালিয়ে ভার্সিটিতে আসা-যাওয়া করতাম। আমাদের শহরগুলোতেও এধরণের সাইকেল লেইন করতে পারলে ভালো হতো।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটায়, তারা ইতিহাসের পাতায় এক ধরণের দুস্কৃতিকারী।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিএনপিসহ যে সকল রাজনৈতিক দল এই ধরনের ভুল করেছে, আশা করি তারা সেই ভুল থেকে বের হয়ে আসবেন, তাহলে দেশের মানুষ তাদেরকে সাধুবাদ জানাবে’ বলেন তিনি।
বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, তারা স্বাধীরতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরে সত্যটাকে মেনে নেবেন, ইতিহাস মেনে নেবেন। কিন্তু তারা জন্মলগ্ন থেকে কয়েক দশক ধরে যে ইতিহাসবিকৃতি করে আসছেন, ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়েও সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নাই।’
‘পাকিস্তানিদের বুঝের সাথে বিএনপির বুঝের খুব মিল রয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিল তাতে বোঝা যায়, ৭ই মার্চের ভাষণ পাকিস্তানিরা যেমন বুঝতে পারে নাই, তেমনি বিএনপিও বুঝতে পারে নাই।’
তরুণ সমাজের কথা মাথায় রেখে ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে করা হয়েছে সিটি আউটার রিং রোড সাইকেল লেইন। প্রথম বারের মতো নগরীতে সাইকেল লেইনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় খুশি সাইক্লিস্টরা।
এক সাইক্লিস্ট বলেন, ‘এই পতেঙ্গার জন্য এরকম এক সাইকেল খুবই প্রয়োজন ছিল। যাক অবশেষে আমরা সাইকেল লেন পেয়েছি। এখন সাইক্লিং করতে আরও অনেকে আগ্রহী হবে।’
তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতেই সাইকেল লেইন চালু করা হয়েছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়্যারম্যান।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহুরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘আমাদের কিশোররা যদি এখানে আসলে সমুদ্রের পাশে মনোরম পরিবেশে সাইকেল চালাতে পারবে। আমরা জায়গা পেলে এখানে কিশোরদের জন্য খেলার মাঠেরও ব্যবস্থা করে দিব।’