প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ বইমেলায় যাবেন, বইও দেখবেন, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। নিজেকে সুরক্ষিত করা মানে অন্যকেও সুরক্ষিত করা। বই পড়ার অভ্যাসটা যেন থাকে, এটা সবাইকে দেখতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেল চারটায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলার উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘টিকা দিয়েই কেউ ভাববেন না যে সুরক্ষিত হয়ে গেছি। এই কথাটি আমি বারবার বলছি। টিকা দেওয়ার পরও হাত ধোয়া, মাস্ক পরা থেকে শুরু করে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন।’
উদ্বোধনের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারপরই মেলা উন্মুক্ত হয় সবার জন্য।
উদ্বোধনের সময় নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেলা উৎসর্গ করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধায়। এবারের মেলার মূল ভাবনা ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’
করোনাভাইরাসের কারণে একমাস দেরিতে শুরু হওয়া বইমেলা ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ বইটি সবাইকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ গ্রহণ করেছেন ১০ সাহিত্যিক। ১০টি ক্যাটাগরিতে তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিজয়ী সাহিত্যিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকরা হলেন- কবিতায় কবি মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়াজ শামীম, প্রবন্ধ সাহিত্যে বেগম আখতার কামাল, অনুবাদে সুরেশ রঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধে সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী বিভাগে ফেরদৌসী মজুমদার এবং ফোকলোর বিভাগে হাবিবুল্লাহ পাঠান।
মোট ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ইতিহাসের স্বচ্ছ বিস্তৃত পরিসরে এবারের বইমেলা। অংশ নিয়েছে ৫৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। করোনাকালের বাস্তবতায় এবারের গ্রন্থমেলায় সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। মেলায় আগতদের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। ২৮ দিনব্যাপী মেলা শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমি সহ মেলায় অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বই ২৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হবে মেলায়।