সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (২০ মার্চ)। পাঁচ পৃথক মেয়াদে ১২ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জিল্লুর রহমান ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের এই দিনে বার্ধক্যজনিত কারণে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
দিনটি উপলক্ষ্যে প্রতি বারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ ও পরিবারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জিল্লুর রহমানের জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ। রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জিল্লুর রহমান ওয়ান ইলেভেনের সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দক্ষতার পরিচয় দেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জিল্লুর রহমান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের জিএস ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম ও ক্রান্তিলগ্নে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। দলমত-নির্বিশেষে তিনি সবার কাছে সমভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। কিশোরগঞ্জের ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দল-মত নির্বিশেষে জিল্লুর রহমান সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। আর এ জন্যই ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া স্বাধীনতার পর তিনি তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত এবং ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণকারী বেগম আইভি রহমান তার স্ত্রী ছিলেন।
তাদের একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি।