করোনার সংক্রমণ রোধে ভ্রমণের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতিথি থাকতে পারবেন বলে নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাদেশের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ কারণে শুক্রবার সকাল থেকে কোনো পর্যটককে সমুদ্র সৈকতে নামতে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে শুরু করে সব জায়গা পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছে। আর পর্যটক না থাকায় সৈকতের দোকান-পাটও বন্ধ রয়েছে। তবে এদিনও দূর-দূরান্ত থেকে কিছু পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। সৈকতে নামতে না পারলেও সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, ‘দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের কারণে কক্সবাজারে করোনার ঝুঁকি একটু বেশিই। তাই গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে নানা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এরপরও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশনা পৌঁছায়। এতে কক্সবাজারের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।