পিকনিক বা চড়ুইভাতি বা বনভোজন এখন আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ।সেই ধারাবাহিকতায় চীনের ইউনান প্রদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিয়ে হয়ে গেল প্রাণবন্ত বার্ষিক বনভোজন – ২০২১। অনুষ্ঠানে বাহারি রকমের নাস্তা ও বিশেষ খাবারের বহুবিধ আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।
শহরের প্রবাস জীননের ব্যাস্ততাকে কিছুটা সময়ের জন্যে পিছনে ফেলে একটু অবসরের স্বাদ নিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন এতে। স্থানীয় সময় রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চীনের ইউনান প্রদেশে কুনমিং-এ অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস প্রাঙ্গণে এই বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাসীদের এই মিলন মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। বনভোজন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন, চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, কুনমিং-এ ঢাকা হি তাই হোটেলের কর্ণধার এরফান খান আরিফ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস-কনসাল মিজানুর রহমান, প্রথম সচিব বজলুর রশিদ। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহয়তা করনে, উজল কুমার সাহা, ডাঃ আরিফুল হক, সুবর্ণা আক্তার সোনা, সজল আহমেদ, সবুজ, আসিফ, ফাহাদ সহ অনেকে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কনসাল জেনারেল এর মিসেস সহ কনস্যুলেটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং ইউনান প্রদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল, প্রীতিভোজ, আলোচনা সভা, খেলাধুলা, গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি, গান ও অভিনয়, লাকি কুপন ড্র, পুরস্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
পিকনিক নিয়ে ব্যক্তিগত অনুভুতি প্রকাশ করে কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা: আরিফুল হক বলেন
স্বদেশীয় ভাই বোনদের সাথে কাটানো সময়গুলো সব সময়ই অনেক অবেগের এবং আনন্দময়। আজকের দিনটি আরও বেশি আনন্দের কারণ বিদেশের মাটিতে দেশী ভাই বোনদের সাথে বনভোজনের আয়োজন করা হলো। নানা কর্মসূচি আর বিনোদনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করা দিনটি সত্যিই স্মরণীয়।
সৃষ্টিলগ্ন থেকেই পিকনিকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দীপনা ও আলোচনা। তাই প্রবাসীদের এই মিলনমেলা এনে দেয় অনাবিল শান্তি আর শক্ত করে বিদেশের মাটিতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।