নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ‘কার্গো জাহাজের ধাক্কায়’ লঞ্চ ডুবে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জন হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, ‘সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ভেসে ওঠা পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে সোমবার লঞ্চটি উদ্ধার করা পর্যন্ত ২৯ জনের লাশ মেলে।’
ইউএনও নাহিদা বলেন, ‘সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পাঁচজনের লাশ ঘটনাস্থলে ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা নিখোঁজদের যে তালিকা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী আর দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। নাম জানা যায়নি এমন কেউও নিখোঁজ থাকতে পারে এখনও। তাদের সন্ধানে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’
এর আগে সোমবার বিকালে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা পর্যন্ত ২৯ জনের লাশ উদ্ধার এবং লঞ্চটি টেনে তোলা হয়।
লঞ্চ ডুবির এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা) রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজ ‘এসকেএল-৩’-এর ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ‘এমএল সাবিত আল হাসান’ নামের লঞ্চটি; যেটি মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। যে জাহাজের ধাক্কায় এই লঞ্চডুবি, সেটিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আটক করা যায়নি।